দেশের আট বিভাগে অধস্তন আদালত পর্যবেক্ষণে হাইকোর্টের বিচারপতিদের দিয়ে ১৩টি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচার শাখার রেজিস্ট্রার মোম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন গত ১০ এপ্রিল এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। বিজ্ঞপ্তিটি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি দেশের ৮টি বিভাগের জন্য পৃথক পৃথক ১৩টি ‘মনিটরিং কমিটি ফর সাবঅর্ডিনেট কোর্টস’ গঠন করে হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতিকে উল্লেখিত জেলাগুলোর দায়িত্ব দিয়েছেন।
একইসঙ্গে সার্বিক সহায়তার জন্য বিচার বিভাগীয় ১৩ কর্মকর্তাকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দ্য সুপ্রিম কোর্ট অব বাংলাদেশ (হাইকোর্ট ডিভিশন রুলস), ১৯৭৩ অনুযায়ী অধস্তন আদালত পর্যবেক্ষণের জন্য এই কমিটি গঠন করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
নতুনভাবে গঠিত এই কমিটিতে বিচারপতিদের দায়িত্ব বণ্টন হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহী-২ বিভাগ (বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা, সিরাজগঞ্জ)-বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি। বরিশাল বিভাগ (বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা)-বিচারপতি জে বি এম হাসান। ঢাকা-১ বিভাগ (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, টাঙ্গাইল)-বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী। খুলনা-১ বিভাগ (খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, নড়াইল)-বিচারপতি মাহমুদুল হক। খুলনা-২ বিভাগ (কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা)-বিচারপতি মো. জাফর আহমেদ। ময়মনসিংহ বিভাগ (ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা)-বিচারপতি রাজিক আল জলিল। ঢাকা-২ বিভাগ (কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর)-বিচারপতি ফাতেমা নজীব। চট্টগ্রাম-১ বিভাগ (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি)-বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান। রংপুর-১ বিভাগ (রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট)-বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার। চট্টগ্রাম-২ বিভাগ (নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর)-বিচারপতি আহমেদ সোহেল। রাজশাহী-১ বিভাগ (রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর)-বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর। রংপুর-২ বিভাগ (দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী)-বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম। সিলেট বিভাগ (সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ)-বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ।
এর আগে, ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো দেশের ৮টি বিভাগের জন্য ৮ জন বিচারপতিকে এই মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। পরবর্তীতে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে বিচারপতির সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় ১৩ জন। সর্বশেষ, চলতি এপ্রিল মাসে এই কমিটি পুনর্গঠন করা হলো।
এই মনিটরিং কমিটির মূল লক্ষ্য হলো-অধস্তন আদালতগুলোর কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা, বিচারপ্রক্রিয়ার গুণগত মান উন্নয়ন এবং বিচারপ্রার্থীদের দ্রুত ও সঠিক বিচার নিশ্চিত করা।