আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরই দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি ভেঙে দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটিবিহীন সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সেই সমস্যা সমাধানে গত ১৮ নভেম্বর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাডহক কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অ্যাডহক কমিটির সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করেছিল সরকার। বেসরকারি কলেজে এডহক কমিটির সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর এবং স্কুলের ক্ষেত্রে স্নাতক পাস হতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছিল।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি) প্রবিধানমালা, ২০২৪–এর প্রবিধি ৬৪ (৩)–এর আওতায় অ্যাডহক কমিটি গঠনপূর্বক অ্যাডহক কমিটি কর্তৃক আগামী ৬ মাসের মধ্যে নিয়মিত কমিটি গঠন করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডসমূহকে অনুরোধ করা হলো।
আজ রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি নিয়ে ২৪ নভেম্বরের সেই আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে। অপরদিকে ১৮ নভেম্বরের প্রজ্ঞাপন কার্যকর থাকবে। অর্থাৎ কমিটির সভাপতি মনোনয়নের ক্ষেত্রে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বা উপজেলা পর্যায়ের নবম গ্রেডের কর্মকর্তার কথা বলা হয়েছিলো তা এবার স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে অ্যাডহক কমিটি গঠন করে ছয়মাসের মধ্যে নিয়মিত করার বিষয়টি বলবৎ থাকবে। বিষয়টি জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের চিঠি পাঠানো হয়েছে।