কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন একাধিক গণমাধ্যমে ফটো সাংবাদিক হিসেবে কাজ করা তাহির জামান। তার নিথর দেহ দেখে চার বছর বয়সী শিশু সাদিরা বলেন, ‘পিও বাবা ঘুমায়’।
গত ১৯ জুলাই রাজধানীর গ্রিন রোডে গুলিবিদ্ধ হন তাহির। পরদিন ২০ জুলাই তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে সংগ্রহ করেন তার স্বজন ও বন্ধুরা। এরপর রোববার (২১ জুলাই) গ্রামের বাড়ি রংপুরে তাকে দাফন করা হয়।
শিশু সাদিরার দাদি ও তাহিরের মা সামসি জামান জানান, তহির ছিল তার একমাত্র ছেলে। বাবা ঘুমালে কাউকে ডাকতে দিত না সাদিরা। বলত, ‘পিও বাবা ঘুমায়।’ গত রোববার বুলেটবিদ্ধ নিথর বাবাকে দেখেও সাদিরার মুখে এ বাক্যই ছিল, ‘পিও বাবা ঘুমায়।’
তাহির জামানের মা রংপুর শহরের জুম্মাপাড়ায় থাকেন। পারিবারিক সম্পর্কের জটিলতায় শিশু সাদিরার মা–বাবার একসঙ্গে থাকার তেমন সুযোগ হয়নি। দুই বছর বয়স থেকেই সাদিরা দাদির কাছে থাকে। এখন রংপুরের একটি স্কুলে প্লে শ্রেণিতে পড়ছে।
বাবার সঙ্গে নিয়মিত দেখা হতো না শিশু সাদিরার। তাই বাবা যে আর কোনো দিন ফিরে আসবে না বিষয়টি এখনো সে বুঝতে পারছে না। দাদি সামসি জামান বলেন, সাদিরা প্রায়ই বলছে, ‘পিও বাবাকে ফোন দাও।’ তাকে এটা-সেটা বুঝ দিয়ে বাবার কথা ভুলিয়ে রাখেন তিনি।