কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেত্রীর করা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক অদিতি আদৃতা সৃষ্টি জামিন পেয়েছেন।
বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন মো. হাসিবুল হকের আদালত শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, আসামি অদিতি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে তার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ৮ মে তিনি উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন পান। এ ছাড়া এ মামলার অপর আসামি ইফতেখার উদ্দিন ইমন জামিনে রয়েছে। মামলাটি ডিবি পুলিশের সাইবার এন্ড ক্রাইম বিভাগ তদন্ত করছে। আগামী ২৭ জুলাই এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
এর আগে গত ৫ মার্চ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ওই নেত্রী বাদী হয়ে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আসামি ইমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অদিতি ব্যবহৃত ফেসবুক আইডির মেসেঞ্জার এবং তার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্টের মাধ্যমে আসামি ইফতেখার উদ্দিন ইমনের কথোপকথন হতো। অদিতি আসামি ইমনকে তার সঙ্গে সরাসরি দেখা করার জন্য বললে তারা গত ডিসেম্বরে সংসদ ভবন এলাকায় দেখা করেন। অদিতি আসামির ব্যবহৃত হোয়াইটসঅ্যাপ একাউন্টে একটা মেয়ের কিছু এডিট করা অশ্লীল ছবি পাঠিয়ে তা ফেসবুকে ভাইরাল করার জন্য বলে। এই কাজের বিনিময়ে অদিতি প্রায়ই বিভিন্ন বিকাশ একাউন্ট থেকে আসামিকে হাত খরচের টাকা পাঠাত। আসামি ফেইক ফেইসবুক আইডি থেকে একটি ফেইসবুক পেইজ তৈরি করেন। পেইজে অদিতির দেওয়া এডিট করা ছবিগুলো পোস্ট করে। এ ছাড়াও এ পেইজে একটি গুগল ড্রাইভের লিংক শেয়ার করে যেখানে বাদীর একাধিক অশ্লীল ছবি সংরক্ষিত ছিল। যা পরে সে মোবাইল থেকে ডিলেট করে দেয়। হোয়াটসঅ্যাপে ডিসএপায়েরিং মুড চালু থাকায় তাদের কথোপকথন স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে ফেলত।