টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রাইভেটকার ও যাত্রীবাহী মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই জন নিহত ও অপর ৮জন গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটায় টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুর পৌর শহরের মালাউড়ি নামক স্থানে ঘটনাটি ঘটে ।
নিহতের মধ্যে ঘটনাস্থলেই মারা যান কামরুল ইসলাম। তার বাড়ি গাজীরপুর জেলার শ্রীরামপুর থানার জয়নাবাজার এলাকায়। সেই ওই এলাকার আজাহারের ভাতের হোটেলের কর্মচারী। অপরজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতেল নেওয়ার পথে মারা গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মধুপুর থানা সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে আটটার দিকে মধুপুর থেকে টাঙ্গাইলগামী চিকিৎসক বহনকারী একটি প্রাইভেটকার ও টাঙ্গাইল থেকে মধুপুরগামী একটি যাত্রীবাহী মাহিন্দ্রা ঘটনাস্থলে এলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় মাহিন্দ্রার যাত্রিরা রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে ছিটকে পড়ে থাকে। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দার, মধুপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মী ও মধুপুর থানা পুলিশ এসে উদ্ধার তৎপরতা চালান।
মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেন মানিক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। অপর ৯জনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন গাজীপুরের জয়নাবাজার এলাকার মইন উদ্দিনের পুত্র সেলিম হোসেন (৩৫), শ্রীপুর নগর হাওলা গ্রামের রইচ উদ্দিনের পুত্র মজুরুল (৪০), নেত্রকোনার ইমাম হোসেনের পুত্র আবদুল হাশেম(৫৫), ফুলবাড়িয়ার আহমেদের পুত্র সাইফুল
( ৩৫), গাংগাইর, মধুপুরের মৃত আরফান আলীর পুত্র জালাল উদ্দিন (৩০), আদাবরের রফিকুল ইসলামের পুত্র ডা. আদনান(৪০), গরহাট্টা নেত্রকোনার মৃত সুমন মিয়ার পুত্র আবদুল কুদ্দুছ(৩০), শ্রীপুর গাজীপুরের জয়নাবাজারের শহর আলীর পুত্র রুবেল হোসেন (৪০)
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেই। আহতে মধুপুর ও ময়মনসিংহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে একজন এবং ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেওয়ার পথে অপর একজন নিহত হয়েছেন। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হবে।