যশোরের অভয়নগরে মাতৃত্ব কালিন ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া সেই মহিলা মেম্বর সেলিনা আক্তার লিজার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাজ কুমার পালকে এ তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আগামী ১০তারিখের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ নির্দেশ দিয়েছেন।
ওই মহিলা মেম্বরের বিরুদ্ধে গত ৮ মে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে স্থানীয় সরকার শাখার সহকারি কমিশনার সুমাইয়া জাহান ঝুরকাকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব পেয়ে ওই কর্মকর্তা তদন্তের কার্যক্রম শুরু করেন বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত মেম্বরের নাম সেলিনা আক্তার লিজা। তিনি ৭নং শুভড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ড (৪,৫,৬) এর মহিলা মেম্বার।
◊ সেলিনা আক্তার লিজা হতদরিদ্র বাশুয়াড়ী গ্রামের শেখ মহব্বত হোসেনের ছেলে বৌকে মার্তৃত্বকালিন ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা আট হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার ছেলের বৌ চার মাস আগে সন্তান প্রস্বাব করেছেন। কিন্তু উপজেলায় ভাতার তালিকা তার নাম অর্ন্তভূক্ত হয়নি। এ ঘটনায় মহব্বত হোসেনের স্ত্রী রেহেনা খাতুন বাদি হয়ে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে পত্রপত্রিায় ফলাও করে ঘটনাটি প্রকাশিত হয়। বিষয়টি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দশ দেন।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাজ কুমার পালক বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করতে আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ পেয়ে আমি কার্যক্রম শুরু করেছি। আগামী ১০ জুন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।