মিঠামইন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন গত ২৯ শে মে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থী আলহাজ্ব আছিয়া আলম সাবেক রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ সাহেবের ছোট বোন।এর আগো তিনি হাওর মাতা হিসাবে সন্মানে ভূষিত হয়ছেন।তিনি এর পূর্বে ২ বার মিঠামইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন ঐ সময় তিনি স্বর্ণপদক ও পেয়েছেন।দ্বিতীয় বারের মত মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ভোট পেয়েছেন ২৩,৫৫৯। নিকট তম প্রার্থী বোরহান উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন আনারস প্রতীক নিয়ে ১৩,৫৬৪ ভোট।প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন, যে সাবেক রাষ্ট্রপতির প্রভাবে তিনি নির্বাচনে জিতেছেন।আলহাজ্ব আছিয়া আলম বলেন,আমার ভাই সাবেক রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ, আমার ভাইয়ের ছেলে রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক বর্তমান সংসদ সদস্য, অপর ভাইয়ের ছেলে মিঠামইন সদরের ৩ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আমরা নিজেদের অর্জনে বার বার জনগণ আমাদেরকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করেছেন।আমার ভাই,ভাতিজার পরিচয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করিনি।আমাদের পরিবারের প্রতি জনগণের আস্তা ও বিশ্বাস রয়েছে বলেই বার বার নির্বাচিত করে আসছেন।প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়াচ্ছেন সাবেক রাষ্ট্রপতিও এম,পি সাহেবের প্রভাবে আছিয়া আলম জয়লাভ করেছে। দুঃখের বিষয় নির্বাচনের সময় যারা এসকল অপপ্রচার চালাচ্ছেন তারা হয়তো জানেন না সাবেক রাষ্ট্রপতি ও এম,পি মহোদয় কেহই এলাকায় আসেননি।তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভবিষ্যতে এধরণের অপপ্রচার থেকে বিরত থাকবেন। তিনি আরও বলেন, অনেক জায়গায়, পোস্টার ব্যানার এমনকি লিফলেট ও দিতে পারেনি।ভোটারদের কোনো আপ্যায়ণও করতে পারেনি।তবুও ভোটাররা আমার সততা ও উন্নয়নের পরিচয়ে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর উদ্দেশ্যে বলেন,জনগণ আপনাদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলেছেন।জায়গা দখল, সরকারি জমি দখল, বিক্রি সহ অর্থ লুপাটের অভিযোগ করেছেন কিন্তু আমরা আমলে নেয়নি।এসকলের জবাব জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দিয়ে দিয়েছেন। আমি এলাকার উন্নয়নের জন্য জনগণের পাশে থেকে কাছ করার অঙ্গীকার করছি।মিঠামইন উপজেলাকে মডেল উপজেলা হিসাবে গড়ে তুলবো। আপনারা আমার পাশে থাকবেন।নির্বাচনের পূর্বে প্রচারণার সময় প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা এলাকায় বলেছেন, এম,পি সাহেব আমাকে দিয়েছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিয়েছেন কিন্তু এ সকল মিথ্যে অপপ্রচার শেষ পর্যন্ত ঠিকেনি।আমাকে ৭ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ গন্যমান্য ব্যাক্তিগন আনুষ্ঠানিক অনুমতি দেওয়ার পরই নির্বাচনে নেমেছি।দ্বিতীয় বার চেয়ারম্যান হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।