1. dailysonbad@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  2. newsroom@dailysongbad71.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
চৌগাছার ঐতিহ্য সরকারী বেড়গোবিন্দপুর বাওড় অবৈধ দখল আর পলি জমে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে হয়েছে গো-চরম ভুমি | দৈনিক সংবাদ ৭১
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১০:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
জনগণের স্বার্থবিরোধী বিষয়ে কোনো ছাড় নয় : তারেক রহমান কক্সবাজার জেলা কারাগারে বন্দীদের মাঝে ফল বিতরণ করে মধুমাস উদযাপন ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরো ৮ জন আক্রান্ত ইংরেজি ২য় পত্রে ১০ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার, অনুপস্থিত ১ হাজার ৬৪৩ ৩ দফা দাবিতে রুয়েট শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কিডনি দিয়ে স্বামীকে বাঁচালেন স্ত্রী, সুস্থ হয়ে স্বামী সংসার গড়লেন পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে! ফকিরহাটে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চতুর্থ দিনের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত মির্জাগঞ্জে বিনামূল্যে কৃষকের মাঝে বীজ, সার ও নারিকেল চারা বিতরণ ফকিরহাটে এইচএসসি পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীর অসুস্থতা: পরীক্ষা দিতে পারল না ফিমা আক্তার চৌগাছা পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশনের নতুন সড়কের পাশে গাছের চারা রোপন উদ্বোধন

চৌগাছার ঐতিহ্য সরকারী বেড়গোবিন্দপুর বাওড় অবৈধ দখল আর পলি জমে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে হয়েছে গো-চরম ভুমি

মেহেদী হাসান শিপলু, স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪

চৌগাছার ঐতিহ্যবাহি সরকারী বেড়গোবিন্দপুর বাওড় আজ স্মৃতির পাতা হতে হারিয়ে যেতে বসেছে। অবৈধ দখল আর পলি জমায় বিশাল বাওড় যেন মরা খাল। দখলদারদের কবল হতে বাওড়ের জমি উদ্ধার করার পাশাপাশি খননকার্য পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন বাওড় পারের বাসিন্দাসহ উপজেলার সচেতন মহল।
চৌগাছায় যে কয়টি বাওড় আছে তারমধ্যে অন্যতম বেড়গোবিন্দপুর বাওড়। উপজেলা সদর হতে দক্ষিনে ৩/৪ কিলোমিটার সড়ক বেয়ে গেলেই চোখে পড়বে বাওড়ের অস্তিত্ব। নানা কারনে বাওড়টি অত্যান্ত গুরুত্ববহন করে। কিন্তু বছরের পর বছর বাওড়ের জমি চলে যাচ্ছে অবৈধ দখলদারদের কবলে। কেউ বাওড়ের জমিতে বানিয়েছে সুবিশাল পুকুর, কেউ বানিয়েছে হাঁস মুরগীর খামার আবার অনেকে দখলে নিয়ে চাষ করছেন মাছ বা ফসলাদি। মশ্মমপুর মোড় হতে বাওড়ের উৎপত্তি, ওই স্থান হতে বর্তমানে প্রায় দুই কিলোমিটারের বেশি স্থান হয়ে গেছে গো-চরণ ভুমি। বছরের বেশির ভাগ সময় থাকে না পানি। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে যে যেমন ভাবে পেরেছে জমি দখলে মেতে উঠেছে। বাওড় পাড়ে যার জমি আছে সেই জমি সোজা করে বাওড়ের শুকিয়ে যাওয়া জমি দখলে নিয়েছে।
গতকাল সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে এক সময়ের অথৈ জলাকারের বাওড়টি। বেড়গোবিন্দপুর গ্রামে প্রবেশ মুখে বাওড়ের ব্রিজের উপর দাঁড়ালে পশ্চিমে যতদুর চোখ যাই শুধুই খাখা করছে, পশ্চিমে উৎপত্তি স্থলে দেখা যাবে বাওড়ের জামিতে টিনের তৈরী ঘর, বাওড়ের বুকে চরে বেড়াচ্ছে গরু আর ছাগল। ব্রিজের পূর্বপাশেও একই দৃশ্য। বাওড় শুকিয়ে যেন মরুভুমি তৈরী হয়েছে, চলছে অবৈধ দখলের রামরাজত্ব।
কথা হয় বাওড়ের বুকে গরু চরাতে আসা ৭৫ বছর বয়সের বেড়গগোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আবেদ আলী জমাদ্দারের ছেলে লাল চানের সাথে। তিনি স্মৃতির পাতা উল্টাতে উল্টাতে যেন আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। এই বয়োবৃদ্ধ বলেন, বাওড়কে বাঁচান, বাঁচন মানুষ ও পরিবেশকে। এক সময়ের কাকচক্ষুর ন্যায় কালো পানির সুবিশাল বাওড় এখন গো-চরন ভুমি, দেখে খুব আপসোস লাগে। সরকারের সঠিক দেখাশুনার অভাবে এই করুন পরিনতি বাওড়ের এমনটিই মনে করছেন। তিনি বলেন, ছোট বেলাতে দেখেছি এই ব্রিজের স্থানে খেয়া পারপার হতো। দুই পাশেই অঢেল পানি, পানির দিকে তাকালে ভয় পেতাম। বছরের বার মাসই হরেক রকমের মাছের সমারোহ ছিল, আর বর্ষা মৌসুম এলে মাছে একাকার এ সবই আজ শুধুই অতীত। বাওড় খনন করলে সরকার প্রতি বছর এখান থেকে কোটি কোটি টাকা রোজগার করবে এমনটিই তিনি মনে করছেন।
বেগোবিন্দপুর জেলে পল্লীর বাসিন্দা তপন হালদার, কৃষ্ণ হালদার, অধির হালদার, আনন্দ হালদার, রতন হালদারসহ একাধিক জেলে বলেন, এই বাওড় ছিল আমাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। কিন্তু সময়ের সাথে পাল্টে গেছে সব কিছু, বাওড় এখন ব্যক্তি মালিকানায় চলে গেছে ইচ্ছা করলেই যখন তখন বাওড়ে নামা সম্ভব হয়না। আর বাওড়ের বেশির ভাগই শুকিয়ে মরে গেছে, সেকারনে ছোট মাছাও এখন আর তেমন হয়না। বাধ্য হয়ে অনেকেই পেশা পরিবর্তন করেছে। তবে বাওড়টি যদি খনন করা হতো তাহলে হয়ত হারিয়ে যাওয়া যৌবন সে আবার ফিরে পেত।
বেড়গোবিন্দপুর বাওড়ের মৎস সমবয় সমিতির সভাপতি আব্দুল হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী বলেন, বাওড়ে পলি জমি সংকুচিত হয়ে গেছে। পানি থাকে না, বর্তমান তাপে মাছ মারা যাচ্ছে। খনন করলে বাওড়ে পানি থাকবে আগের মতই সকলেই উপকৃত হবেন।
চৌগাছা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত মৎস চাষি আবুল কাশেম বলেন, কাগজে কলমে বাওড়ের জলকার হচ্ছে ৫৫৮ একর। কিন্তু বাস্তবে জলাকার ১শ একর আছে বলে মনে হয়না। নানা কারনে বাওড় তার অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। চৌগাছার ঐতিহ্য এই বাওড় খনন করলে সরকার এমনকি স্থানীয়রাও এই সুফল ভোগ করবে।
বাওড় ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, সরকার বাওড়টি ব্যক্তি মালিকানায় ইজারা দিয়েছেন। তারাই এখন দেখা শুনা করছেন। বাওড়ে আগের মত পানি না থাকায় মাছ চাষে এর প্রভাব পড়ছে বলে তিনি মনে করছেন।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© 2024, All rights reserved. এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। এখানে নিজস্ব সংবাদ প্রচার সহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ সুত্র সহ প্রকাশ করা হয়। অনুগ্রহ পূর্বক কেহ অভিযোগ করিবেন না। তাছাড়াও কোন অভিযোগ থাকলে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হইলো।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট
error: এখানে নিজস্ব সংবাদ প্রচার সহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ সুত্র সহ প্রকাশ করা হয়। অনুগ্রহ পূর্বক কেহ অভিযোগ করিবেন না। তাছাড়াও কোন অভিযোগ থাকলে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হইলো।