আহম্মদ আলী, জেলা প্রতিনিধি,যশোর।
যশোর সদরের ২৯ মে স্থগিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ মে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের কপি নির্বাচন কমিশনে আসার পর কমিশন ৫ জুন যশোর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচের তারিখ নির্ধারণ করেন। উল্লেখ্য যে ২৩ মে আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহারুল ইসলামের মহামান্য হাইকোর্টের মামলার আদেশের পর ভোট গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর নির্বাচন কমিশনের এ সংক্রান্ত পত্র যশোরে আসে। ওইপত্রের নির্দেশ অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার আব্দুর রশিদ ওইদিনই সন্ধ্যায় নির্বাচন স্থগিতের আদেশ জারি করেন।
যশোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু একটি পদে থেকে আরেকটি পদে নির্বাচন করা যাবে না উল্লেখ করে রিটার্নিং অফিসার তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেননি বলে তিনি জানান। এ কারণে তিনি তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। মহামান্য হাইকোর্ট ১৩ মে শাহারুল ইসলামকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগসহ তার অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগে সিপিএলএ নম্বর ১৭১৩/২০২৪ দায়ের করলে গত ২০ মে ‘নো অর্ডার’ আদেশ জারি করেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের ওই আদেশ বাস্তবায়নে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আগামী ২৯ মে সকল পদের নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়। নির্বাচন স্থগিত সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের পত্র পাওয়ার পর ২৯ মে নির্বাচন স্থগিত করে পত্র জারি করেন রিটার্নিং অফিসার আব্দুর রশিদ।
এদিকে, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাতজন চেয়ারম্যান, পাঁচজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। এরইমধ্যে ভোট স্থগিত হওয়ার খবরে প্রার্থীদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়।
রবিবার চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহারুল ইসলামকে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার। শাহারুল ইসলাম জোড়া ফুল প্রতীক পেয়েছেন এবং তিনিও প্রচার- প্রচারণা শুরু করেছেন। ৫ জুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর সকল জল্পনা কল্পনার অবসান হলো।