প্রতিবেদক: হারুন অর রশিদ, স্টাফ রিপোর্টার
আগামী ৫ আগস্ট জাতির সামনে উপস্থাপিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত জুলাই ঘোষণাপত্র। শনিবার (২ আগস্ট) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। বিকেল ৫টায় প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে এটি প্রকাশ করবেন।
প্রেস সচিব জানান, ঘোষণাপত্রে ২৬টি দফা স্থান পেয়েছে। এতে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন, মানবাধিকার, এবং বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে।
গত বছরের আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়। এরপর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার, যার লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও নতুন রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি।
এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কয়েকটি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয় এবং কমিশনগুলোর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করে। সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতেই এই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, “জুলাইয়ের যে ঐতিহাসিক ভিত্তি, তা এই ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হয়েছে। এখানে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর স্পষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশা-আকাঙ্ক্ষাও এতে স্থান পেয়েছে।”
৫ আগস্ট ঘোষণাপত্র উপস্থাপন অনুষ্ঠানে অভ্যুত্থনের পক্ষের সব রাজনৈতিক দল উপস্থিত থাকবে বলে জানা গেছে।
ঘোষণাপত্রে যেসব বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে:
প্রধান উপদেষ্টা নিজেই ৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশে ঘোষণাপত্রটি পাঠ করবেন। প্রেস সচিব বলেন, “সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হবে। আমরা একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছি।”