স্টাফ রিপোর্টার: হারুন অর রশিদ
“প্রবাসীর অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার—বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, আমাদের সবার” এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো ফরিদপুরেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে রেমিটেন্স যোদ্ধা দিবস-২০২৫।
গত শনিবার (২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি), ফরিদপুর। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক ষষ্ঠী পদ রায়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রামানন্দ পাল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,
“দেশ ও জাতিগঠনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদান অনস্বীকার্য। সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। বিদেশগামী কর্মীদের যথাযথ সরকারি সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি, তাদের যেন হয়রানির শিকার না হতে হয়, বিশেষ করে দেশের বিমানবন্দরে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। দালাল চক্র দমনে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন,
“জুলাই মাস আমাদের গণচেতনার প্রতীক। এই চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে প্রবাসীরা নিরলস পরিশ্রম ও সততার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। বৈধ পথে বিদেশে যাওয়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে তিনি একটি স্বচ্ছ, মানবিক ও উন্নত বাংলাদেশের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন:
এছাড়া বক্তব্য রাখেন:
অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধি, প্রবাসী বাংলাদেশিরা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন,
জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে প্রবাসীরাও পালন করেছেন ঐতিহাসিক ভূমিকা। দেশের বাইরে থেকেও তাঁরা বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছেন। এতে কিছু প্রবাসী কারাবরণও করেছেন।
এই আন্দোলন ছিল গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে শান্তিপূর্ণ জনচেতনার বহিঃপ্রকাশ।
অনুষ্ঠানে শহীদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং তাঁদের পরিবারসহ বিশ্বের সব রেমিটেন্স যোদ্ধাদের প্রতি গভীর সম্মান জানানো হয়। ফরিদপুর জেলার নারী-পুরুষ বিদেশে কর্মরত আছেন—২০২৫ সালের রেমিট্যান্স লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তাঁদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রদানকারী চার জন রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
সৌদি আরব প্রবাসী রেজাউল করিম সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পান। এছাড়াও সাগরী বেগম, সোহাগ মাতুব্বর ও আনোয়ারা বেগম কে সম্মাননা প্রদান করা হয়।