1. dailysonbad@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  2. newsroom@dailysongbad71.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
ফকিরহাট সদর ইউনিয়নে ১১ লাখ টাকার মন্দির প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় | দৈনিক সংবাদ ৭১
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সেতাবগঞ্জে স্বামীর উপর অভিমান করে গৃহবধূর আত্মহত্যা, লাশ মর্গে সরকারি বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে চৌগাছায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন বাগেরহাট কোর্টের সামনে ফকিরহাট শ্রমিক লীগ নেতাকে গণধোলাই ফকিরহাট সদর ইউনিয়নে ১১ লাখ টাকার মন্দির প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় তারেক-বাবরসহ আসামিদের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি আজ রামগড় পৌরসভার সাবেক মেয়র কাজী রিপন গ্রেফতার দেশজুড়ে অভিযানে গ্রেফতার ১৪৫৭ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা সিলেটে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাট: ১০ দিন ধরে বন্ধ কুমারগাঁও পাওয়ার স্টেশন টেকনাফে আলহাজ্ব নুরুল আমিনের ইন্তেকালে কলতান সাহিত্য পরিষদের শোক প্রকাশ

ফকিরহাট সদর ইউনিয়নে ১১ লাখ টাকার মন্দির প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড়

আজীজুল রহমান, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার দৈনিক সংবাদ ৭১
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"effects":1,"beautify":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

 


ফকিরহাট সদর ইউনিয়নে ১১ লাখ টাকার মন্দির প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড়

আজীজুল রহমান, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার
দৈনিক সংবাদ ৭১

বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট সদর ইউনিয়নে সরকারি উন্নয়ন বাজেট বরাদ্দে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১% আয়কর খাত থেকে বরাদ্দ পাওয়া অর্থের মধ্যে প্রায় ১১ লাখ ১৬ হাজার টাকা এককভাবে একটি মন্দিরে তিনটি প্রকল্প দেখিয়ে ব্যয় দেখানো হয়েছে, যা নিয়ে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক সমালোচনা ও প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

জনসংখ্যার বিপরীতে প্রকল্প বিতরণে বৈষম্য

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের ৯০-৯৫% জনসংখ্যা মুসলিম হলেও, বরাদ্দে কোনো মসজিদ, মাদ্রাসা বা মুসলিম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নাম নেই। অথচ একটি হিন্দু মন্দিরে একসঙ্গে তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়াকে বৈষম্যমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।

মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধানে মিললো নানা অসঙ্গতি

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইউনিয়নের সিংগাতী গ্রামে অবস্থিত শীতলা মন্দিরে গিয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ প্রকল্পের বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা দিতে পারেননি। মন্দির পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা ও সহ-সভাপতিরা জানান, তাঁরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুধু ১ লাখ টাকার বালু ভরাট অনুদান পেয়েছেন, বাকি কাজ স্থানীয়ভাবে চাঁদা তুলে সম্পন্ন করা হয়েছে।

সেখানে সরকারি প্রকল্পের সাইনবোর্ড নেই, নেই সময়কাল বা প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানের কোনো প্রমাণ। কেউ কেউ জানান, “গতকালই তো ছাদ ঢালাই হয়েছে!” অথচ ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন বলেন, “আমি ছাদ ঢালাইয়ের বিষয়ে কিছু জানি না।

সুপারভিশন কমিটিতে নাম, জানেন না প্রকল্পের খবর

৮নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য অভিযোগ করেন, তিনি প্রকল্প সম্পর্কে কিছুই জানতেন না, অথচ তার স্বাক্ষর নিয়ে তাকে ‘সুপারভিশন কমিটির সদস্য’ হিসেবে দেখানো হয়েছে। বাস্তবে তাকে কোনো বৈঠকে ডাকা হয়নি, জানানো হয়নি প্রকল্প বাস্তবায়নের কিছুই।

পুরনো অনিয়মের অভিযোগও resurfacing

শুধু চলতি বছরেরই নয়, ২০১৬-১৭ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ৭ লাখ টাকার হোল্ডিং ট্যাক্স ব্যয়েও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ নিয়ে বহু বছর ধরে তদন্ত চলছে, তবু দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।

সাবেক সচিব আশীষ ব্যানার্জির বিরুদ্ধে জবাবদিহির দাবি

প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা ইউনিয়নের সাবেক সচিব আশীষ ব্যানার্জির বিরুদ্ধেও রয়েছে সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, বিভিন্ন ইউনিয়নে চাকরি করার সময় তিনি জমি কিনেছেন, ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়িয়েছেন, যার উৎস প্রশ্নবিদ্ধ।

মাত্র ৫-৬ মাসেই পুরো বাজেট খরচ!

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার অন্য ৭টি ইউনিয়নে বাজেট বণ্টন সীমিত হলেও, শুধু ফকিরহাট সদর ইউনিয়নেই পুরো বরাদ্দ মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে শেষ দেখানো হয়েছে। আর এই ব্যয়ের সিংহভাগই গেছে একটি মন্দির প্রকল্পে, যা জনমনে ক্ষোভ ও দুর্নীতির আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।

তথ্য-প্রমাণ হাতে, আসছে অনুসন্ধানের পরবর্তী পর্ব

এই প্রতিবেদনের অনুসন্ধানে প্রকল্প রেজিস্টার খাতা, বিল-ভাউচার, মাঠ পর্যায়ের ভিডিও ও ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই এসব প্রমাণ ও আরও নতুন তথ্যসহ পরবর্তী পর্ব প্রকাশিত হবে।


 আমরা কি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে পারবো না?

এই প্রশ্ন কেবল একজন সাংবাদিকের নয়—এটি আমাদের সমাজের প্রতিটি সচেতন নাগরিকের। জনগণের টাকায় গড়ে ওঠা প্রকল্পে যদি এইভাবে দুর্নীতি হয়, তাহলে জবাবদিহিতা কোথায়? তাই সময় এসেছে রুখে দাঁড়ানোর।
সত্য প্রকাশ হোক, দুর্নীতির অবসান হোক।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© 2024, All rights reserved. এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। এখানে নিজস্ব সংবাদ প্রচার সহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ সুত্র সহ প্রকাশ করা হয়। অনুগ্রহ পূর্বক কেহ অভিযোগ করিবেন না। তাছাড়াও কোন অভিযোগ থাকলে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হইলো।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট
error: এখানে নিজস্ব সংবাদ প্রচার সহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ সুত্র সহ প্রকাশ করা হয়। অনুগ্রহ পূর্বক কেহ অভিযোগ করিবেন না। তাছাড়াও কোন অভিযোগ থাকলে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হইলো।