স্টাফ রিপোর্টার, প্রভাষক জাহিদ হাসান, দৈনিক সংবাদ ৭১
দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল ও কলেজগুলোকে আগামী ৫ জুলাই ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ এবং ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ যথাযথভাবে উদযাপন করতে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) মাউশির সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো. খালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, সরকার প্রতি বছর ৫ জুলাই দিনটিকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে (সাধারণ ছুটিসহ) উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দিবসটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এছাড়া, ১৬ জুলাই দিনটিকে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ দিবসটিকে ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।
দুইটি দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ প্রাসঙ্গিক কর্মসূচি আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৮ আগস্ট দিনটিকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে এ নিয়ে নানা বিতর্ক ও আপত্তির মুখে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
নতুন করে দুইটি দিবস উদযাপন প্রসঙ্গে কেউ কেউ এটিকে ইতিহাসকে সম্মান জানানোর উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন। আবার অনেকে এর ঐতিহাসিক ভিত্তি ও জাতীয় ঐকমত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
তবে মাউশির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “দিবস উদযাপন প্রসঙ্গে কোনো বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে বরং শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”