স্টাফ রিপোর্টার
যশোরের চৌগাছায় এক এনজিও কর্মী সমিতির ২ লাখ টাকা নিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সোমবার সে একটি ইউনিয়নের সমিতি থেকে টাকা নিয়ে আর অফিসে ফেরেনি। এটি নিখোঁজ, অপহরণ না, আত্মগোপনে আছে এই নিয়ে চলছে সমালোচনা। থানা ও এনজিও সূত্রে জানা গেছে, চৌগাছা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের ইছাপুর বটতলা সংলগ্ন মহিউদ্দিনের বসত বাড়ির একটি অংশ ভাড়া নিয়ে বাসা ফাউন্ডেশন নামক একটি এনজিও অফিস খুলে বসে। প্রায় ৮/৯ বছর ধরে এনজিওটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঋন দিয়ে তা নিয়মিত ভাবে আদায় করে আসছে। মঙ্গলবার সকালে এনজিও ক্রেডিট অফিসার সুজন বালা (২৮) সমিতির কিস্তি আদায়ে উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে যান এবং ২ লাখ টাকা তুলে সে আর অফিসে ফিরে আসেনি। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা তিনি ফিরে না আসায় তার সহকর্মী এমনকি এনজিও ব্যবস্থাপক তাকে খুজতে যের হয়। এ সময় তারা সবুজ বালার ব্যবহৃত ০১৮৭৬৬৯৪৪৬৯ নম্বরে ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাই। একপর্যায়ে এনজিও কর্তৃপক্ষ চৌগাছা থানায় একটি জিডি করেন। নিখোঁজ এনজিও কর্মী সুজন বালা গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার উত্তর ধীরাইল গ্রামের বাবা শান্ত বালা ও মা মায়া রানীর ছেলে।
এ বিষয়ে বাসা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, তার নিখোঁজের বিষয়টি নিয়ে আমরা ভিষন ভাবে চিন্তিত। কিস্তি আদায়ে যেয়ে সন্ধ্যায় ফিরে না আসায় আমরা সকলেই তাকে খুজতে বের হই। তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কোনই খবর পাওয়া যাইনি। থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেছি এবং পরিবারের সাথে যোগযোগ করা হয়েছে। সে নিজ বাড়িতেও যায়নি বলে নিশ্চিত হয়েছি। তার স্বজনরা চৌগাছায় আসছেন এবং নিকট সকল আত্মীয় স্বজন বাড়িতেও খোজ নেয়া হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেকা পর্যন্ত নিখোঁজ সুজন বালার সন্ধান মেলেনি। থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।