মার্কিন হামলার জবাবে পাল্টা হুংকার ইরানের, আকাশসীমা বন্ধ করল ইসরায়েল
প্রভাষক জাহিদ হাসান, দৈনিক সংবাদ ৭১ ডিজিটাল ডেক্স :
ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাতের আঁধারে দেশটির ফোর্দো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনায় এই হামলা চালানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযানের পর কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, এখন অঞ্চলজুড়ে প্রতিটি মার্কিন নাগরিক ও সেনা সদস্য ইরানের বৈধ হামলার লক্ষ্যবস্তু।
এই অবস্থার মধ্যেই নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। রোববার (২২ জুন) পৃথকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর এক ঘোষণায় ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, “এখন থেকে এই অঞ্চলে অবস্থানরত প্রতিটি মার্কিন নাগরিক এবং সেনাসদস্য (হামলার) বৈধ টার্গেট।”
এ ঘোষণার কয়েক দিন আগেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে সামরিকভাবে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে তারা এমন ক্ষতির মুখে পড়বে যা কখনোই পূরণ করা সম্ভব হবে না।”
এর কিছু সময় পরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ইসরায়েলের সঙ্গে একযোগে ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, “আমাদের এই সফল অভিযান সম্পন্ন হয়েছে। ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে আমরা সফল হামলা চালিয়েছি।”
এ ঘটনার জেরে ইসরায়েল সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় চলে গেছে। দেশটিতে শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে, জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবং অপ্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া, ইসরায়েলের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে দেশটির আকাশসীমা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগমন ও প্রস্থানের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
তবে বিমান চলাচল বন্ধ হলেও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, মিসর ও জর্ডানের সঙ্গে স্থল সীমান্ত পারাপার চালু থাকবে।