স্টাফ রিপোর্টার |
সরকার ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাইযোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
নতুন এই অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, যদি কেউ প্রতারণার মাধ্যমে নিজেকে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য বা আহত জুলাইযোদ্ধা হিসেবে দাবি করে কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তা, চিকিৎসা বা পুনর্বাসন সুবিধা গ্রহণ করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ২ বছর কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা জরিমানা অথবা প্রাপ্ত সুবিধার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ড দেওয়া হবে।
গত ১৫ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এটি জারি করেন। এতে বলা হয়েছে, সংসদ ভেঙে যাওয়ায় রাষ্ট্রপতির কাছে এটি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, বিষয়টি আশু ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি রাখে।
অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে—জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের কল্যাণ, পুনর্বাসন, ইতিহাস সংরক্ষণ এবং অভ্যুত্থানের মর্ম ও আদর্শকে জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করতেই এটি জারি করা হয়েছে।
অধ্যাদেশে শহীদ পরিবার এবং আহত জুলাইযোদ্ধাদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুনর্বাসনের বিধান রাখা হয়েছে। এর আওতায় দক্ষতা অনুযায়ী চাকরি, আত্মকর্মসংস্থানে সহজ শর্তে ঋণ, এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থাও করা হবে।
এছাড়া ইতিমধ্যে গঠিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’-কে এই অধ্যাদেশের অধীনে আনা হয়েছে। শহীদ ও আহতদের তালিকাও এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
আহতদের তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করে প্রত্যেককে ‘জুলাইযোদ্ধা’ এবং শহীদদের ‘জুলাই শহীদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।