আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ১৬ জুন ২০২৫
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় আরও ৫৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৭ জন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল-সমর্থিত বিতর্কিত মানবিক সংস্থা ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)’ পরিচালিত একটি ত্রাণ কেন্দ্র থেকে খাবার সংগ্রহের চেষ্টা করছিলেন।
আল-আওদা হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরাতে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, রোববার গাজার মধ্যাঞ্চলে নেটজারিম করিডোরের কাছে একটি জিএইচএফ ত্রাণ কেন্দ্রে যাওয়ার সময় ইসরাইলি গুলিতে অন্তত তিনজন নিহত ও বহু মানুষ আহত হন। এ সময় তারা ক্ষুধার্ত পরিবারদের জন্য খাবার সংগ্রহ করতে এসেছিলেন।
দক্ষিণ গাজা ও রাফা:
দক্ষিণ গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও অন্তত ১০ জন ত্রাণপ্রার্থী নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৫০ জনের বেশি। আহতদের বেশিরভাগকে রাফার রেড ক্রস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গাজার দেইর আল-বালাহ থেকে আলজাজিরার প্রতিনিধি তারেক আবু আযম জানান, “স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, গুলি চালানোর আগে কোনও সতর্কতা দেওয়া হয়নি। ফলে হতাহতদের অধিকাংশই ছিলেন নিরস্ত্র ও ক্ষুধার্ত বেসামরিক মানুষ।”
বিমান হামলায় প্রাণহানি:
একইদিন গাজার বিভিন্ন অংশে ইসরাইলের চালানো একাধিক বিমান হামলায় আরও অন্তত ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
শনিবারের হামলার পরিসংখ্যান:
এর আগের দিন শনিবারও ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৭৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। তাদের অনেকেই ত্রাণ সংগ্রহের সময় লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন। চিকিৎসকরা জানান, জিএইচএফ-এর ত্রাণ বিতরণ স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করায় নেটজারিম করিডোর এলাকায় কমপক্ষে ১৫ জন প্রাণ হারান।
গাজার স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরাইলের এ ধরনের ত্রাণপ্রার্থী হত্যাকাণ্ডকে যুদ্ধাপরাধ বলে অভিহিত করেছে।