📰 নিজস্ব প্রতিবেদক
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের অন্যতম মৌলিক উপাদান হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ১৬ জুন ‘সংবাদপত্রের কালো দিবস’ উপলক্ষে রোববার (১৫ জুন) মধ্যরাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো দিবস। ওই দিন তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা কায়েম করে বহুদলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করে এবং স্বাধীন সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়। কেবল সরকারের অনুগত চারটি পত্রিকা রেখে বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনার ফলে হাজারো সংবাদকর্মী বেকার হয়ে পড়েন এবং তাদের জীবিকা সংকটে পড়ে। “এটি ছিল স্বাধীনতার মূল চেতনা—গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থি কাজ।”
তারেক রহমান বলেন, “আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি বাক ও চিন্তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। স্বাধীন সংবাদপত্রই ভিন্নমতের প্রকাশ ঘটাতে পারে এবং রাষ্ট্রকে জবাবদিহির কাঠামোতে নিয়ে আসে।”
তিনি আরও দাবি করেন, স্বাধীনতার পরপরই ক্ষমতাসীনরা এ চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। তবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।
বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে তারেক রহমান বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার একদলীয় শাসনের নতুন রূপ দিয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে সাংবাদিকদের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করেছে।”
তিনি বলেন, “বিগত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর গণমাধ্যম কিছুটা স্বাধীনতা পেলেও এখনো ফ্যাসিবাদী শক্তির ছায়া কাটেনি।”
তারেক রহমান বাণীতে বলেন, “সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা ছাড়া গণতন্ত্রের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব সম্ভব নয়।”