এম আলী আকবর, ব্যুরো চীফ, বাগেরহাট।
প্রবাসী সাংবাদিক ও সমাজচিন্তক ইলিয়াস হোসেন সম্প্রতি একটি জোরালো ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখিকা তসলিমা নাসরিনের দ্বিমুখিতা ও ইসলামবিরোধী মনোভাবের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, তসলিমার ইসলামবিদ্বেষ প্রায় নিয়মিত আচরণে পরিণত হয়েছে, বিশেষ করে কোরবানির ঈদের সময়।
ইলিয়াস লিখেছেন:
“যেই ঈদের দিনটাতে মুসলমানদের হৃদয় আনন্দে ভরে ওঠে, সেই দিনেই তসলিমার চুলকানি শুরু হয়। কোরবানি মানেই যেন তার জন্য বিষময় কিছু। অথচ নিজের জীবনে তিনি যে কত পশুর মাংস খেয়েছেন— তা ভুলে যান অনায়াসে।”
তিনি উল্লেখ করেন, ঈদের কয়েকদিন আগে— ১৯ মে— তসলিমা তার ফেসবুক প্রোফাইলে দুটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। একটিতে তাকে দেখা গেছে সকালে হ্যামবার্গার খেতে, যেখানে শুকরের মাংস রয়েছে। আরেকটি ছবিতে তিনি দুপুরে খাচ্ছেন মুরগির পায়া।
ইলিয়াস প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন:
“শুধু গরু বা খাসির কোরবানি নিয়েই কেন তোমার এত কষ্ট? মুরগি বা শুকরের কষ্ট কি তুমি অনুভব করো না? তাহলে কি এসব পশু শুধুই মুসলমানদের দোষের অংশ?”
তার মতে, এটি শুধুমাত্র তসলিমার সমস্যা নয়, বরং বাংলাদেশি তথাকথিত নাস্তিকদের একটি অভিন্ন বৈশিষ্ট্য। তারা যেসব পশ্চিমা দেশে বসবাস করেন, সেখানে গরু পূজা হয়, গরুর মূত্র পান করা হয়, পশু বলি দেওয়া হয়— কিন্তু এসব বিষয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তারা চুপ থাকেন। অথচ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুশাসন পালন করলেই তারা সক্রিয় হয়ে ওঠেন।
ইলিয়াস স্পষ্টভাবে বলেন:
“এরা নাস্তিক না। এরা আসলে ইসলামবিদ্বেষী। ইসলামকে ঘৃণা করাই এদের একমাত্র উদ্দেশ্য।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“ইসলাম এমন একটি ধর্ম যেখানে ধনী-গরিব সবাইকে নিয়ে চলা হয়। কোরবানির মাধ্যমে সমাজের দরিদ্র মানুষও মাংস খেতে পারে। এই মানবিক সৌন্দর্য, এই সাম্যবাদিতা তারা মেনে নিতে পারে না।”
তসলিমার উদ্দেশে তিনি তীব্র ভাষায় লেখেন:
“তুমি আল্লাহর সাথে যে বেয়াদবি করেছো, তার জবাব কোনো মুসলমানকে দিতে হবে না। আল্লাহই তোমার বিচার করবেন। হয়তো সেই শাস্তি ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে, তুমি শুধু টের পাওনি।”
সবশেষে তিনি তাঁর স্ট্যাটাসে সাফ জানিয়ে দেন:
“তুমি যতই চেষ্টা করো, যতই ঘৃণা ছড়াও— ইসলামকে দমন করতে পারবে না। ইসলাম এগিয়ে যাবে— তোমাকে নিয়েও, আর তোমাকে ছাড়াও। কারণ ইসলাম এসেছে আল্লাহর পক্ষ থেকে, আর আল্লাহর কাজকে কেউ থামাতে পারবে না।”