
বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কুয়েটের প্রকৌশলীকে হুমকি ও মারধরের অভিযোগ
তারিকুল ইসলাম আলভী, খুলনা
কুয়েটের ১৩ নম্বর ভবনের ওয়াটার প্রুফিং কাজের জন্য নির্ধারিত দর নিয়ে একটি বিরোধের কারণে এক নির্বাহী প্রকৌশলী এবং অন্য এক প্রকৌশলীকে হুমকি দেয় এবং গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া এবং শেখ আবু হায়াত লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন যে, ঠিকাদার মোল্লা সোহাগ তাদেরকে ফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন এবং মারধরের হুমকি দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কুয়েটের প্রকৌশলীরা দর নির্ধারণের সময় ভ্যাট, আইটি এবং ১০ শতাংশ প্রফিট যোগ করে। এই প্রফিট নিয়ে আপত্তি জানান মোল্লা সোহাগ, তিনি আরও বেশি প্রফিট দাবি করেন। যখন প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া তাকে অফিসে এসে কথা বলার পরামর্শ দেন, তখন মোল্লা সোহাগ ফোনেই নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া এবং শেখ আবু হায়াতকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।
শেখ আবু হায়াত জানান, “রোববার তিনটা বাজার কিছু আগে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয়ে মোল্লা সোহাগ আমাকে ফোন করে বলেন, ‘তুই চেয়ারের পরে বসে সবাইরে টেন পারসেন্ট লাভে কাজ দিছিস’ এবং আমাকে গালিগালাজ করেন। এরপর তিনি আরো বলেন যে, আমাকে দেখে ফেলবে, বাড়ি আক্রমণ করবে এবং ফুলবাড়ি গেটের সামনে আমাকে দেখে নেবে।”
মোল্লা সোহাগ নিজে তার সাংগঠনিক পরিচয় এবং প্রকৌশলীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন, তবে তিনি দাবী করেন যে, তিনি কোনো ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে জড়িত নন। তিনি বলেন, “কুয়েট থানা বিএনপির সেক্রেটারি আব্বাস এবং থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানের নিয়ন্ত্রণে। আমার কোনো কাজ কুয়েটে নেই।”
তবে, মোল্লা সোহাগের কাছে প্রশ্ন করা হলে, কুয়েটে যদি তার কোনো কাজ না থাকে, তাহলে প্রকৌশলীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার বিষয়ে কীভাবে হুমকি দিয়েছিলেন, এই প্রশ্নের কোনো স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি।