যশোরে ইমন কাজী ওরফে ভাগ্নে ইমন ও সোহাগ রানা নামে দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে গাছি দা, ছুরি ও বার্মিজ চাকু।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার পুলেরহাট কৃষ্ণবাটি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
যশোর জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে খবর আসে পুলেরহাট কৃষ্ণবাটি এলাকার আলীর বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর একাধিক মামলার আসামি আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কাজী তার লোকজন নিয়ে অবস্থান করছেন।তাৎক্ষণিক জেলা গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা ঘটনাস্থলে অভিযান চালান। এখান থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কাজীকে আটক করা হয়। এ সময় তার সহযোগীরা পালিয়ে যান।
পরে ইমন কাজীর তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, তার সহযোগী মারুফ হোসেন সাগরের বাড়িতে অস্ত্র রয়েছে। এরপর ডিবি পুলিশ সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। সেনাবাহিনীর একটি টিম এসে সাগরের বাড়িতে অভিযান চালালে তিনি পালিয়ে যান। তবে, সাগরের বাড়ি থেকে ওই অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের আরেক সহযোগী সোহাগকে আটক করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রেফতারদের তাদের স্বীকারোক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে পলাতক আসামি মারুফ হোসেন সাগরের বাড়ি তল্লাশি করে তার খাটের নিচে সাদা প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে একটি গাছি দা, একটি ধারালো ছুরি, দুটি ধারালো বার্মিজ চাকু ও দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এসআই কামরুজ্জামান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।
ডিবি জানিয়েছে, আটকরা একাধিক মামলার আসামি। ইমন কাজীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ ১০টি মামলা রয়েছে।
আটক ভাগ্নে ইমন শহরের তেঁতুলতলা ইসমাইল কলোনির খালিদ হোসেনের ছেলে এবং সোহাগ রানা একই এলাকার মৃত মান্না শেখের ছেলে।