মো: মাহিদুল ইসলাম
মাল্টিমিডিয়া প্রতিনিধি, দৈনিক সংবাদ ৭১
বাগেরহাটের ফকিরহাটে দীর্ঘ ১৮ বছর পর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে নির্বাচনী আমেজ ফিরে এসেছে। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদ কে পাচ্ছেন তা নিয়ে চলছে জোর গুঞ্জন। এ উপলক্ষে নেতারা তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত সক্রিয় রয়েছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রচারণা চালাচ্ছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৫৬৮ জন কাউন্সিলরের প্রত্যক্ষ ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন, মনোনয়নপত্র বিতরণ, জমা, যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা ও প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৯ আগস্ট ফকিরহাট উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ও ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একজন সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক এবং দুইজন সাংগঠনিক সম্পাদক—মোট চারটি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই চারটি পদে মোট দুইটি প্যানেল থেকে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
গোরা-কারিম প্যানেল থেকে সভাপতি পদে শেখ কামরুল ইসলাম গোরা (ছাতা প্রতীক), সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ শরিফুল কামাল কারিম (কলস প্রতীক), সাংগঠনিক সম্পাদক পদে খান লিয়াকত আলী (মাছ প্রতীক) ও নোমান আলী মেহেদী (গোলাপ প্রতীক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্যদিকে কামরুজ্জামান-পলাশ প্যানেল থেকে সভাপতি পদে মো. কামরুজ্জামান (আনারস প্রতীক), সাধারণ সম্পাদক পদে ইফতেখার আহমেদ পলাশ (ফুটবল প্রতীক), সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মুশফিকুজ্জামান রিপন (আম প্রতীক) ও আলমগীর কবির (সাইকেল প্রতীক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা জানান, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। এখানে নেতৃত্ব নিয়ে প্রতিযোগিতা সবসময় থাকবে। তবে কাউন্সিলরদের ভোটে যারা নির্বাচিত হবেন, সবাই মিলে দলকে শক্তিশালী করতেই কাজ করবেন। তাদের মতে, সম্মেলন ঘিরে উত্তেজনা থাকলেও সংঘাতের সম্ভাবনা নেই; বরং এ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হবে এবং হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন হবে।