নিরঞ্জন মিত্র (নিরু), ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৫২ তম আবির্ভাব তিথি জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ফরিদপুরে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে ও উৎসবমুখর পরিবেশে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মিলিত সনাতনী সমাজের আয়োজনে শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গন প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভাঙা রাস্তার মোড় ঘুরে পুনরায় শ্রীঅঙ্গন প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে সকাল ৮টায় শ্রীঅঙ্গন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট ফরিদপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক অজয় কর-এর সঞ্চালনায় শ্রীকৃষ্ণের জীবন দর্শন নিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন—
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রামানন্দ পাল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিন্টু বিশ্বাস, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ.কে.এম কিবরিয়া স্বপন, যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ.এফ.এম কাইয়ুম জঙ্গি, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুল হাসান পিংকু ভূঁইয়া প্রমুখ।
শোভাযাত্রায় অংশ নেন ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটি, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট, জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ ও ভক্তবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন—
ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি সুখেশ সাহা, প্রভাষক ননী গোপাল রায়, সাধারণ সম্পাদক বিধান সাহা, জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক অরূপ চক্রবর্তী, মহানগর আহ্বায়ক সুশান্ত কুমার বিশ্বাস, সদস্য সচিব টুটুল কুমার কুন্ডু, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট ফরিদপুর জেলার আহ্বায়ক নিতাই রায়, সদস্য সচিব সুব্রত রবি দাস, শহর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রাম দত্ত, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কর্মকারসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীদের মতে ভগবান বিষ্ণুর বিশেষ রূপ হিসেবে শ্রীকৃষ্ণকে মানা হয়। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে তিনি পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। এই দিনটিই শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী নামে পরিচিত।
তারা আরও বলেন, শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি উপলক্ষে ভক্তরা ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে মন্দির ও গৃহে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে থাকেন। দেশ গড়তে হলে সব ধর্মের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান বক্তারা।
এদিকে অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে জেলা পুলিশ। সকাল থেকেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়।