আশাশুনির তেঁতুলিয়া নদী ভাঙ্গন স্থান পরিদর্শন করলেন জামায়াতের উপজেলা নায়েবে আমির মাওলানা নূরুল আফসার মুর্তাজা
আমিরুল ইসলাম, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) মাল্টিমিডিয়া প্রতিনিধি
আশাশুনি উপজেলার কাঁদাকাটি ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া হামিউচ্ছুন্নাহ কওমিয়া ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা এবং সংলগ্ন চর জামে মসজিদ নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সাবেক এমপি মরহুম মাওলানা এ এম রিয়াছাত আলী বিশ্বাসের সুযোগ্য পুত্র ও উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা নুরুল আফসার মুর্তাজা। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে তিনি ভয়াবহ ভাঙ্গন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেন।
২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এলাকার স্বনামধন্য মাদ্রাসা ও জামে মসজিদ মরিচ্চাপ নদীর চর ভরাটি স্থানে নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু নদী খননের সময় ভরাট এলাকা বাদ দিয়ে ভাঙ্গনপ্রবণ অংশ দিয়ে খনন করায় বছর না ঘুরতেই পুনরায় ভাঙ্গন শুরু হয়। প্রায় এক মাস আগে এখানে দৃশ্যমান ভাঙ্গন দেখা দেয় এবং এক সপ্তাহ আগে প্রায় ২০-২৫ হাত বাঁধ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে শতাধিক বাঁশ সংগ্রহ করে পাইলিং কাজ করলেও বুধবার দুপুরে পাইলিংসহ নতুন করে বাঁধ ভেঙে নদীতে চলে যায়। বর্তমানে মসজিদের দেয়াল নদীর গা ঘেঁষে গেছে, ইমাম সাহেবের বাসা ভাঙ্গনের মুখে এবং মাদ্রাসা গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মসজিদ, মাদ্রাসা ও অসংখ্য ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
কাঁদাকাটি ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিকীর উদ্যোগে ও মাদ্রাসার সভাপতি লুৎফর রহমানের আমন্ত্রণে উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা নুরুল আফসার মুর্তাজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি ভাঙ্গনের ভয়াবহতা দেখে শঙ্কা প্রকাশ করেন এবং দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের আলমগীর হোসেন, আবুল হোসেন, মসজিদের ইমাম হুসাইন আহমেদ, মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, সভাপতি লুৎফর রহমান, সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ, আজগার আলী প্রমুখ।
মাদ্রাসার সভাপতি লুৎফর রহমান বলেন, “আমরা সবসময় এলাকার মানুষের সহযোগিতায় ভাঙ্গন রোধে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে ইউএনও মহোদয়ের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় দ্রুত কাজের ব্যবস্থা নিতে চেষ্টা চালাচ্ছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে অচিরেই ভাঙ্গন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”