দৈনিক সংবাদ ৭১ ডিজিটাল ডেস্ক
প্রভাষক জাহিদ হাসান
আল জাজিরার ৫ সাংবাদিককে হত্যার মাধ্যমে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ দখলের অভিযান শুরু করেছে বলে দাবি করেছে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস।
সোমবার (১১ আগস্ট) হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানায়, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করা ইসরায়েলি বাহিনীর পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধাপরাধ। এই হামলার উদ্দেশ্য হলো গাজায় গণহত্যার তথ্য ও প্রমাণ বিশ্ববাসীর কাছে গোপন রাখা। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সাংবাদিক হত্যার মধ্য দিয়ে গাজা দখলের দুরভিসন্ধীমূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল।
পৃথক বিবৃতিতে আল জাজিরার সাংবাদিক হত্যার নিন্দা জানিয়ে হামাস বলেছে, এটি ফ্যাসিবাদ ও অপরাধের সব সীমা অতিক্রমকারী নৃশংসতা। গাজায় সাংবাদিকদের ওপর ধারাবাহিক হামলা আন্তর্জাতিক মূল্যবোধ ও আইনের সম্পূর্ণ পতনের ইঙ্গিত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা ইসরায়েলকে কোনো জবাবদিহিতা ছাড়াই সাংবাদিক হত্যায় উৎসাহিত করছে বলেও মন্তব্য করেছে তারা।
এর আগে গত শুক্রবার গাজা শহর দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন দেয় ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এই পরিকল্পনা প্রকাশের পর যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক মহল কঠোর সমালোচনা করে পরিকল্পনা স্থগিতের আহ্বান জানায়। তবে এসব উপেক্ষা করে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এরই মধ্যে রোববার ইসরায়েলের বোমা হামলায় কাতারভিত্তিক আল জাজিরার পাঁচ সাংবাদিক নিহত হন। তারা গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফার প্রধান ফটকের সামনে একটি তাঁবুতে বসে কাজ করছিলেন। নিহতরা হলেন— আনাস আল শরীফ (২৮), মোহাম্মদ ক্রিকেহ (সংবাদদাতা), ইব্রাহিম জাহের (ক্যামেরা অপারেটর), মোহাম্মদ নওফাল ও মোমেন আলিওয়া।
তাদের মধ্যে আনাস আল শরীফ সবচেয়ে পরিচিত ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে উত্তর গাজা থেকে রিপোর্টিং করছিলেন। মৃত্যুর কিছু সময় আগেই তিনি সামাজিকমাধ্যম এক্স-এ গাজার পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে তীব্র বোমাবর্ষণের খবর পোস্ট করেছিলেন।
সূত্র: আনাদোলু