স্টাফ রিপোর্টার: মো. রায়হান
আগামী নির্বাচনে দেশের অধিকাংশ মানুষের সমর্থন বিএনপি ও ধানের শীষ পাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, “মানুষ এখন বিশ্বাস করে, একমাত্র বিএনপির পক্ষেই সম্ভব ধীরে ধীরে এই দেশকে গড়ে তোলা। আজ দেশের অধিকাংশ মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হলে আমাদের প্রথমে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর রাজশাহী মহানগর বিএনপির এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল তুঙ্গে।
তারেক রহমান বলেন, “আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী নির্বাচনে দেশের অধিকাংশ জনগণের সমর্থন বিএনপি ও ধানের শীষ পাবে। এরপর দেশ গড়তে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। বর্তমান স্বৈরাচার সরকার নিজেদের স্বার্থে শিক্ষা, বিচার, আইনশৃঙ্খলা, অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার গঠন করতে পারলে আমাদের এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, আড়াই বছর আগে বিএনপি দেশের মানুষের সামনে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিল। অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করলেও অধিকাংশ প্রস্তাব বিএনপি আগেই ঘোষণা করেছিল। দেশের উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্কার অপরিহার্য বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
পদ্মা নদীর পানির সংকটের প্রসঙ্গ তুলে তারেক রহমান বলেন, “ফারাক্কার কারণে পদ্মা নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। পানির ন্যায্য হিস্যা পেতে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালত ও জাতিসংঘে যাব। খালগুলো সংস্কার করে পানির ব্যবস্থা করতে হবে।”
স্বাস্থ্য খাত নিয়ে তিনি বলেন, “পূর্ববর্তী স্বৈরাচার সরকার স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংস করে এমনভাবে সাজিয়েছিল, যাতে মানুষকে পার্শ্ববর্তী দেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। আমাদের এখন নিজস্ব চিকিৎসক ও নার্স তৈরি করতে হবে, যাতে দেশের মানুষ দেশেই উন্নত চিকিৎসা পায়।”
অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আগামী রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন হবে। শুধু ভোটে জয়লাভই নয়, দেশ পরিচালনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জনগণ জানতে চায়। “আমাদের ৩১ দফা বাস্তবায়নই হবে পরবর্তী পদক্ষেপ,” বলেন তারেক রহমান।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির উপদেষ্টা ও রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত খালেক, বিএনপির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহসম্পাদক শফিকুল হক মিলন। সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা।