দুমকি ও পবিপ্রবি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, জাকির হোসেন হাওলাদার:
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) লোন শাখার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর লোন কিস্তির টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা না করে প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পেনশন সেলের উপ-পরিচালক মো. রাজিব মিয়া এবং একই শাখার ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্ট আবু ছালেহ মো. ইছা। অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা মোটরসাইকেল ও কম্পিউটার ক্রয়ের জন্য শতাধিক লোন গ্রহীতার কাছ থেকে কিস্তির টাকা নিয়ে ভূয়া ব্যাংক জমা স্লিপ প্রদান করেন এবং আসল টাকা নিজেদের কাছে রেখে দেন।
হিসাব শাখা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সাল থেকে পবিপ্রবি’র শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জিপিএফ তহবিল থেকে (১০% কর্তণ) রূপালী ব্যাংক পবিপ্রবি শাখার ৮৩০৫ নম্বর চলতি হিসাবের মাধ্যমে মোটরসাইকেল ও কম্পিউটার ক্রয়ের জন্য লোন চালু করা হয়।
লোন গ্রহীতারা নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করলেও ওই দুই কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে ভূয়া জমা স্লিপ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ অডিট সেলে হিসাবের গরমিল ধরা পড়লে অভিযুক্তরা নিজেদের ভুল স্বীকার করেন এবং ইতোমধ্যে ৩২ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে,
অভিযুক্ত আবু ছালেহ মো. ইছা বলেন,
“এটি আত্মসাত নয়, হিসাবের গরমিল হয়েছে। শীঘ্রই সমন্বয় করে দেওয়া হবে। কোনো লোন গ্রহীতার টাকা হারাবে না।”
অপর অভিযুক্ত মো. রাজিব মিয়াকে অফিসে পাওয়া যায়নি, এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন জানান,
“আর্থিক হিসাবে অসামঞ্জস্য ধরা পড়ায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্তরা ইতোমধ্যে ৩২ লাখ টাকা জমা দিয়েছেন।”
রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইখতেক্ষার আহম্মেদ কোনো মন্তব্য না করে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন,
“অভিযুক্তদের কাছ থেকে টাকাগুলো উদ্ধারের কৌশল নেওয়া হয়েছে। আগে টাকা উদ্ধার, পরে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”