বাগেরহাটের এসপি ও প্রধান সহকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত কমিটি
এম আলী আকবর, ব্যুরো চিফ
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) তৌহিদুল আরিফের বিরুদ্ধে তারই প্রধান সহকারী এসএম হাফিজুর রহমান কোটি কোটি টাকা অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আইজিপির দপ্তরে। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে পুলিশের একাধিক টিম তদন্ত শুরু করেছে।
অভিযোগের পর এসএম হাফিজুর রহমানকে বাগেরহাট থেকে খাগড়াছড়ি বদলি করা হয়। তবে গত মাসে খুলনায় তার ওপর ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা হয়। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এসএম হাফিজুর রহমানের ১০ পাতার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে টেন্ডার আহ্বান করা হলেও পণ্য সরবরাহ না নিয়ে ঠিকাদারদের কাছ থেকে নগদ টাকা নেওয়া হয় এবং বিনিময়ে ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া হয়। সাবেক এসপি আবুল হাসনাত এভাবে প্রায় ৩৯ লাখ ৭৬ হাজার ৯৫৮ টাকা নিয়েছিলেন। বর্তমান এসপি তৌহিদুল আরিফ এ তথ্য জানার পর সাবেক এসপির কাছ থেকে ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯০৮ টাকা ফেরত নিলেও কোনো পণ্য ক্রয় করেননি বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
অভিযোগ আরও রয়েছে, তৌহিদুল আরিফ স্বাস্থ্যবিধান সামগ্রী, মনিহারী দ্রব্য, যন্ত্রপাতি, মোটরযান ও জলযান মেরামতসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। এছাড়া গাড়ি রিকুইজিশনের ভুয়া বিল করে প্রায় ৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সদর দপ্তর তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে, যার প্রধান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবু রায়হান মোহাম্মদ সালেহ। তিনি জানান, তদন্ত প্রতিবেদন ইতোমধ্যে জমা দেওয়া হয়েছে, তবে তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
অপরদিকে, এসপি তৌহিদুল আরিফ প্রধান সহকারী হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধেও নানা দুর্নীতি, ঠিকাদারি বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তুলেছেন।
বদলির বিরুদ্ধে মামলা করার পর গত ১১ জুলাই খুলনা হাজী মুহসিন রোডে দুর্বৃত্তদের হামলায় হাফিজুর রহমান গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন।