কক্সবাজারের ৯ বালুমহালের ইজারা কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত
মোহাম্মদ হোসাইন, কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের সংরক্ষিত ও রক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে এবং এর আশপাশে অবস্থিত ৯টি বালুমহালের ইজারা সংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) দায়ের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকা সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার (১০ আগস্ট) এ আদেশ দেন।
স্থগিতাদেশের পাশাপাশি উল্লিখিত বালুমহালগুলো বিধি-বহির্ভূতভাবে ইজারা প্রদানের উদ্দেশ্যে তালিকাভুক্ত করা কেন বেআইনি হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। একইসঙ্গে, বালুমহালগুলো বিলুপ্ত ঘোষণা করে ইজারাযোগ্য বালুমহালের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে বালু উত্তোলনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বনাঞ্চল সুরক্ষার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
স্থগিতাদেশপ্রাপ্ত বালুমহালগুলো হলো—চকরিয়া উপজেলার খুঁটাখালী-১, রামু উপজেলার ধলীরছড়া ও পানিরছড়া, উখিয়া উপজেলার বালুখালী-১, দোছড়ি, পালংখালী, হিজলিয়া, ধোয়াংগারচর ও কুমারিয়ারছড়া।
আদেশের পর আইনজীবী এস হাসানুল বান্না জানান, আদালত প্রধান বনসংরক্ষক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং উত্তর ও দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন উল্লিখিত বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে। পাশাপাশি, বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত ইজারা গ্রহীতা ও অন্যান্য দায়ীদের তালিকা প্রস্তুত এবং উত্তোলনের কারণে বনের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, সম্প্রতি কক্সবাজারে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে বালুমহালের ইজারা নিয়ে একটি অসাধু চক্র বনাঞ্চল কেটে মাটি বিক্রি শুরু করে। এ-সংক্রান্ত একটি সচিত্র প্রতিবেদন গত ১৮ মে দৈনিক সমকাল-এ প্রকাশিত হলে বেলা সেটি সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করে। শুনানি শেষে রবিবার এ আদেশ দেওয়া হয়।
মামলায় বেলার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ আশরাফ আলী এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল গোলাম রহমান ভূঁইয়া।