এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার, প্রভাষক জাহিদ হাসান

২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ১০টায় একযোগে দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এই ফল প্রকাশ করা হয়। শিক্ষার্থীরা রোল নম্বর দিয়ে ফলাফল দেখতে পারবেন।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে অনেক শিক্ষার্থী তাৎক্ষণিকভাবে ফল দেখতে গিয়ে ওয়েবসাইট ডাউন হওয়ার অভিযোগ করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একসাথে বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারী প্রবেশ করায় সাময়িকভাবে সাইট ডাউন হয়েছিল, যা দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

ফলাফল দেখার ওয়েবসাইটসমূহ

• ঢাকা: www.dhakaeducationboard.gov.bd
• কুমিল্লা: www.comillaboard.gov.bd
• চট্টগ্রাম: www.bise-ctg.gov.bd
• রাজশাহী: www.rajshahiboard.gov.bd
• যশোর: www.jessoreboard.gov.bd
• বরিশাল: www.barisalboard.gov.bd
• সিলেট: www.sylhetboard.gov.bd
• দিনাজপুর: www.dinajpureducationboard.gov.bd
• ময়মনসিংহ: www.mymensingheducationboard.gov.bd
• মাদ্রাসা: www.bmeb.gov.bd
• কারিগরি: www.bteb.gov.bd

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানান, এবার মোট ৯২,৮৬৩ জন শিক্ষার্থী ২,২৩,৬৬৪টি খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন, যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২১ হাজার এবং চ্যালেঞ্জ হওয়া খাতার সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪০ হাজার।

সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে গণিতে—৪২,৯৩৬টি খাতা। এরপর ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে ১৯,৬৮৮টি করে, পদার্থবিজ্ঞানে ১৬,২৩৩টি এবং বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে ১৩,৫৫৮টি খাতার পুনঃনিরীক্ষণ হয়েছে। সবচেয়ে কম আবেদন এসেছে চারু ও কারুকলা বিষয়ে—মাত্র ৬টি।

উল্লেখ্য, পুনঃনিরীক্ষণ প্রক্রিয়ায় খাতা নতুন করে মূল্যায়ন করা হয় না; বরং নম্বর যোগ-বিয়োগে কোনো ত্রুটি, প্রশ্ন বাদ পড়া বা ওএমআর শিটে নম্বর এন্ট্রি সঠিক হয়েছে কি না—এসব যাচাই করা হয়। প্রয়োজনে সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশের ৯টি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৬ লাখ ৬৬০ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। এর মধ্যে ছাত্র ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭১৬ জন এবং ছাত্রী ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৪৪ জন।