মাদারগঞ্জে প্রধান শিক্ষক আসায় বিদ্যালয় ত্যাগ করলেন শিক্ষার্থীরা
মোঃ রবিন আলী, জামালপুর জেলা প্রতিনিধি
জামালপুরের মাদারগঞ্জে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহীদ সাহেব আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে দুইজন শিক্ষিকা রয়েছেন, একজন শিক্ষার্থীও উপস্থিত নেই। সাংবাদিক আসছে খবর পেয়ে বিকল্প পথ দিয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন প্রধান শিক্ষক মোঃ আক্রামুজ্জামান আকরাম।
পরে এলাকায় অনুসন্ধানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসলেই শিক্ষার্থীরা “লুচ্চা আসছে” বলে চিৎকার করে এবং সবাই মিলে বিদ্যালয় ত্যাগ করে। অভিযোগ রয়েছে, ৫ম শ্রেণির ১১ জন ছাত্রী প্রধান শিক্ষকের যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। স্থানীয়দের দাবি, একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। শিক্ষার্থী অভিভাবকদের বক্তব্য—প্রধান শিক্ষক আকরাম বিদ্যালয়ে থাকলে তারা সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, “আকরাম স্যার মেয়েদের সাথে খারাপ আচরণ করে, অশ্লীল মন্তব্য করে। উনি আসায় আমরা সবাই স্কুল থেকে চলে গেছি।”
অভিভাবক হায়দার আলী, বদি শেখ, জামাল আকন্দ, আলিম সরকারসহ অনেকে বলেন, “তার চরিত্র খারাপ, মেয়েদের সাথে অশোভন আচরণ করে। আমরা তার বদলি চাই।”
সহকারী শিক্ষিকা রেবেকা সুলতানা বলেন, “প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ লোকমুখে শুনেছি, তবে সরাসরি দেখিনি।”
প্রধান শিক্ষক আক্রামুজ্জামান আকরামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ছাইদুর রহমান বলেন, “বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। এ সপ্তাহে বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলব।”
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আমিনের সঙ্গেও একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।