মো. রায়হান, স্টাফ রিপোর্টার
যশোরের চৌগাছায় বিএনপির উদ্যোগে ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক বিশাল সমাবেশ ও আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে পৌর এলাকার পুরাতন কোটচাঁদপুর বাসস্ট্যান্ডে এ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আগেভাগেই জনসমাগমে পূর্ণ হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল। বৃষ্টি উপেক্ষা করেও শত শত নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বিকেল ৪টায় শুরু হয় মূল সমাবেশ।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা বিএনপির সদস্য ও যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আলহাজ্ব মিজানুর রহমান খান। সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও হাকিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল হাসান।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউনুচ আলী দফাদার, চৌগাছা পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র সেলিম রেজা আওলিয়ার, সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল হালিম চঞ্চল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, অ্যাডভোকেট আলীবুদ্দিন খান, যুবদলের আহ্বায়ক এমএ মান্নান, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন আহমেদ, কৃষকদলের সভাপতি আজগার আলী, স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান, ছাত্রদলের আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, “১৯৭১ সালে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে এদেশের যুবসমাজ রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল, আর ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের দেশত্যাগে বাধ্য করেছিল। এই দুটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে কার কী ভূমিকা ছিল— তা জনগণ জানে।”
তারা আরও বলেন, “আজ যারা ‘গণতন্ত্রের কথা’ বলে মায়াকান্না করছে, ’৭১-এ তারা কোথায় ছিল? এখন আবার ষড়যন্ত্র করে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।”
নেতারা দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
সমাবেশ শেষে বাদ্যযন্ত্র, ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে একটি বিশাল আনন্দ মিছিল বের করা হয়। নাচে-গানে মুখরিত মিছিলটি পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেইন বাসস্ট্যান্ডে এসে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।