মোহাম্মদ হোসাইন, কক্সবাজার প্রতিনিধি | দৈনিক সংবাদ ৭১
কক্সবাজার:
দেশের রেলস্টেশনগুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশনে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক স্ক্যানার মেশিন। সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা থেকে আসা ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ ট্রেনের যাত্রীদের লাগেজ স্ক্যানিংয়ের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম শুরু হয়।
রেলস্টেশন সূত্র জানায়, লাগেজ স্ক্যানিং চালু হওয়ায় ট্রেনভিত্তিক অপরাধ, বিশেষ করে মাদক ও অবৈধ পণ্য পাচার প্রতিরোধ সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কক্সবাজার রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী দৈনিক সংবাদ ৭১-কে বলেন,
“সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজার থেকে ইয়াবাসহ ভয়ংকর মাদকের পাচার বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, সক্রিয় মাদক চক্র রেলপথকে নতুন পাচার রুট হিসেবে ব্যবহার করতে পারে—সে আশঙ্কা থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, যাত্রীদের যেন কোনো ভোগান্তিতে না পড়তে হয়, সে কারণে ট্রেন ছাড়ার অন্তত আধাঘণ্টা আগে স্টেশনে উপস্থিত হয়ে স্ক্যানার মেশিনে লাগেজ দিতে হবে। স্টেশনের প্রবেশমুখেই এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
প্রথমদিন দেখা গেছে, স্টেশন কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে এই স্ক্যানিং কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। মেশিনে ওষুধ জাতীয় দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও চোরাচালান পণ্য শনাক্তের সুবিধা রয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু বস্তুর জন্য স্ক্যানার অ্যালার্ম দেয় এবং কেবল সেই ব্যাগগুলো তল্লাশি করা হচ্ছে—যাতে অন্য যাত্রীরা অহেতুক হয়রানির শিকার না হন।
ঢাকা থেকে আগত যাত্রী আবিদ হাসান বলেন,
“এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এটি বড় ভূমিকা রাখবে। তবে কোনো যাত্রী যেন অহেতুক হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া প্রয়োজন।”
বর্তমানে কক্সবাজার-ঢাকা রুটে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ও ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ এবং কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ‘সৈকত এক্সপ্রেস’ ও ‘প্রবাল এক্সপ্রেস’ ট্রেন চলাচল করছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীসেবা কার্যক্রম শুরু করে কক্সবাজার রেলস্টেশন।