এম আলী আকবর, ব্যুরো চিফ, দৈনিক সংবাদ ৭১
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনকে ‘মেরুদণ্ডহীন প্রতিষ্ঠান’ আখ্যায়িত করে বলেছে, তারা এখনো কমিশনকে সংশোধনের সুযোগ দিচ্ছে।
রোববার (৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন একটি মেরুদণ্ডহীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে এবং দলীয় উর্দি পরে একটি বিশেষ দলের হয়ে দায়িত্ব পালন করছে— তারা তা তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে। তারপরও আমরা তাদের সংশোধনের সুযোগ দিচ্ছি।”
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আরও বলেন, “গত ১৫ বছরে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আর এখন কেউ ভোট দিতে চাইলে সেই অধিকারও ব্যাহত করার চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ একসময় ভোট দেওয়ার অধিকার বাধাগ্রস্ত করা হতো, এখন ভোট নেওয়ার অধিকারও বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।”
নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমাদের পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে— নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অধিকাংশ অংশ সামরিক উর্দি পরা বাহিনী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং বাকি অংশ দলীয় উর্দি পরা ব্যক্তিদের দখলে।”
কমিশনের অধীনে ভোট হলে এনসিপি অংশ নেবে কি না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “যদি জনগণ আমাকে ভোট দিতে চায়, কিন্তু আমাকে ভোট নিতে না দেওয়া হয়, তাহলে আমি কেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব? তবে এখনও আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছাইনি। আমরা নিয়মিত কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করছি, তাদের ভুলগুলো দেখিয়ে দিচ্ছি এবং সংশোধনের সুযোগ দিচ্ছি।”
তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন যদি সামরিক ও দলীয় উর্দি পরে তাদের মেরুদণ্ড বিকিয়ে দিতে চায় এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে আমরা শেষ পর্যন্ত কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো।”
তবে এখনও আশাবাদী বলেও মন্তব্য করেন এনসিপির এই নেতা। বলেন, “আমরা তাদের এখনও সময় দিচ্ছি। তারা যেন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে আসে, ভোট গ্রহণের কার্যক্রম শুরু করে এবং দেশকে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে নিতে সচেষ্ট হয়— সেটিই চাই।”