আজিজুর রহমান
মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার, দৈনিক সংবাদ ৭১
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঘোষিত “ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান–২০২৪” স্মরণে আয়োজিত কেন্দ্রীয় স্মৃতি লিখন প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে ১৭তম স্থান অর্জন করে পুরস্কার পেয়েছেন বাগেরহাট সদর উপজেলার মেধাবী শিক্ষার্থী মো. রবিউল ইসলাম বাদশা।
রবিবার (৩ আগস্ট), রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে “জুলাই জাগরণ: নব উদ্যমে বিনির্মাণ” প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ।
প্রতিযোগিতায় দেশব্যাপী জমা পড়া তিন হাজারের বেশি লেখার মধ্যে থেকে নির্বাচিত শীর্ষ ৫০টির মধ্যে রবিউলের লেখা “রক্তাক্ত ৪ঠা আগস্ট” ১৭তম স্থান লাভ করে। পুরস্কার হিসেবে তিনি পেয়েছেন সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদপত্র এবং নগদ ২০ হাজার টাকা।
পারিবারিকভাবে কঠিন বাস্তবতা মোকাবেলা করা রবিউল একজন পিতৃহীন সন্তান। পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে লেখাপড়ার পাশাপাশি সংসারের দায়িত্বও বহন করছেন তিনি। বর্তমানে তিনি বাগেরহাট সরকারি প্রফুল্লচন্দ্র কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট বাগেরহাট কোর্ট চত্বরের সামনে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হন রবিউল এবং পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনাকেই তিনি তার লেখার উপজীব্য করেন।
নিজ অনুভূতি জানিয়ে রবিউল ইসলাম বলেন,
“আলহামদুলিল্লাহ! সারা দেশের হাজারো প্রতিযোগীর মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে ১৭তম হতে পারা নিঃসন্দেহে আমার জীবনের গর্বের একটি মুহূর্ত। ‘রক্তাক্ত ৪ঠা আগস্ট’ কেবল একটি লেখা নয়, বরং এটি আমার হৃদয়ের রক্তক্ষরণ ও একটি আন্দোলনের জীবন্ত স্মৃতি।”
রবিউলের আন্দোলনের সহযোদ্ধা ও এলাকাবাসী রেজওয়ান শেখ বলেন,
“‘রক্তাক্ত ৪ঠা আগস্ট’ আমাদের ত্যাগ, সংগ্রাম ও চেতনার জীবন্ত দলিল। রবিউলের এই অর্জন পুরো বাগেরহাটবাসীর গর্ব। শিবিরের চিন্তা-চেতনার এই বিজয় আমাদেরকে নতুন করে সাহস ও প্রেরণা জোগায়।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, কেন্দ্রীয় নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম, বুয়েটের শিক্ষক ড. ফখরুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ, শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দামসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।