এম আলী আকবর, ব্যুরো চিফ
বাগেরহাট জেলার চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে আজ রোববার (৩ আগস্ট) খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে “বাগেরহাট সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি”। বিকেল ৪টার দিকে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এই স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বাগেরহাট জেলার একটি সংসদীয় আসন বিলুপ্ত করার প্রস্তাব শুধু অনাকাঙ্ক্ষিত নয়, বরং তা জনগণের প্রতিনিধিত্ব ও গণতন্ত্রের চেতনার পরিপন্থী। বাগেরহাটের দীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাস, ভৌগোলিক বিস্তৃতি ও জনসংখ্যার হার বিবেচনায় ৪টি সংসদীয় আসন বরাদ্দ থাকা যৌক্তিক ও ন্যায্য ছিল বলেও দাবি করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ গণমাধ্যমকে জানান, নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্ত কোনো যৌক্তিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে নেই। বরং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একপক্ষকে সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে এটি করা হয়েছে বলে তাঁদের আশঙ্কা।
বিএনপির কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও বিশিষ্ট কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন,
“গণতান্ত্রিক দেশে জনগণের মতামত উপেক্ষা করে এবং প্রচলিত বিধি-বিধান লঙ্ঘন করে নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, তা বাগেরহাটবাসীর মৌলিক অধিকার হরণের শামিল। আমরা জানতে পেরেছি, গাজীপুরের এক প্রভাবশালী নেতার আত্মীয় নির্বাচন কমিশনে কর্মরত এবং তাকেই বিশেষ সুবিধা দিতে বাগেরহাট থেকে একটি আসন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।”
তিনি আরও বলেন,
“এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে বাগেরহাট জেলার জনগণ আরও বেশি অবহেলার শিকার হবে। আমরা এ সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং জোর দাবি জানাচ্ছি—বিলুপ্ত করা সংসদীয় আসন অবিলম্বে পুনর্বহাল করতে হবে।”
বক্তারা বলেন, ইতোমধ্যে জেলার সর্বস্তরের মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্মারকলিপি প্রদান তারই একটি অংশ। তারা হুঁশিয়ারি দেন—এই দাবিকে উপেক্ষা করা হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে এবং তা জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
স্মারকলিপি প্রদানকালে বাগেরহাটের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন—
সর্বদলীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, বাগেরহাটের জনগণ ঐক্যবদ্ধ এবং একতাবদ্ধভাবে দাবি আদায়ে মাঠে থাকবে। দাবি না মানা পর্যন্ত রাজপথে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে ঢাকায় নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনেও কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে বলে জানান নেতারা।