শফিকুল বারি, স্টাফ রিপোর্টার
সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের নৈইগাং সুলেমানপুর গ্রামে গৃহপালিত ছাগল ও ভেড়ার গাছের চারা খাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় খায়রুল ইসলামকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আহতরা হলেন—আব্দুল মতিনের ছেলে কৃষক রফিকুল ইসলাম (৪৫), কবির মিয়া (৩৫), শফিকুল ইসলাম (৩৮), কবির মিয়ার স্ত্রী শারমিনা বেগম (৩০) ও প্রতিপক্ষের রিয়াজ উদ্দিন (৪০)।
আহত রফিকুল ইসলাম বলেন,
“দুপুরে আমাদের বাড়ির আঙিনায় প্রতিপক্ষ সাবির উদ্দিন তার ছাগল ও ভেড়া ছেড়ে দিলে তারা আমাদের লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা খেয়ে ফেলে। আমি ছাগলের কুটি সরিয়ে অন্য জায়গায় রাখতে গেলে সাবির উদ্দিন এসে আমাকে গালাগালি করে এবং এক পর্যায়ে তার ভাই রিয়াজ উদ্দিন, হোসেন আলী, সফর উদ্দীনের স্ত্রী মদিনা বেগম ও দুলাল মিয়ার স্ত্রী হানিফা বেগম মিলে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা ধারালো ছুরি দিয়ে আমার কান ও মাথায় কুপিয়ে জখম করে। আমার ভাইরা আমাকে বাঁচাতে গেলে তারাও আহত হন এবং আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে প্রায় বিশ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে।”
তবে প্রতিপক্ষ সাবির উদ্দিনের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি, কারণ তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম জানান,
“ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।