1. dailysonbad@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  2. newsroom@dailysongbad71.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
দুমকিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি, চরম দুর্ভোগে স্থানীয়রা | দৈনিক সংবাদ ৭১
শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
উখিয়ায় জামায়াতের গণমিছিল ও সমাবেশে জেলা আমীর আনোয়ারী: “সাম্য-মানবিক মর্যাদার ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ গড়বো” রাজশাহীতে সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর পরিদর্শনে নৌপরিবহন উপদেষ্টা সাতক্ষীরা-৩ আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের দাবিতে আশাশুনিতে জামায়াতের বিক্ষোভ ও সমাবেশ সুনামগঞ্জের রঙ্গারচরে ছাগলে গাছের চারা খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৫ সিলেটের জকিগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে নিখোঁজ বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার, এলাকাজুড়ে রহস্যের আবহ জামালপুরে ‘রেমিটেন্স যোদ্ধা দিবস’ উদযাপন: জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান ফকিরহাট সদর ইউনিয়নে উন্নয়ন তহবিল আত্মসাৎ: রহস্যজনক প্রকল্প ব্যয়ে জড়িত সাবেক সচিব ও চেয়ারম্যান! ফকিরহাটে গ্রাম পুলিশ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ, প্রশ্নের মুখে উপজেলা প্রশাসন পুঠিয়ায় হায়নার মতো প্রাণীর আক্রমণে ৫ জন আহত, এলাকাজুড়ে আতঙ্ক রোববার শহীদ মিনারে ‘নতুন বাংলাদেশের’ ইশতেহার ঘোষণা করবে এনসিপি

দুমকিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি, চরম দুর্ভোগে স্থানীয়রা

আজিজুর রহমান, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫

 


দুমকিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি, চরম দুর্ভোগে স্থানীয়রা

আজিজুর রহমান, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার

পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের একাধিক গ্রাম লোহালিয়া নদীর জোয়ার ও টানা ভারি বর্ষণে প্লাবিত হয়ে পড়েছে। নদীর প্রবল স্রোতের চাপে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ওয়াপদা বেড়িবাঁধের অন্তত পাঁচটি স্থানে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে হঠাৎ নদীর পানি ঢুকে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

পানির প্রবল চাপে বসতঘর, রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে ডুবে যাওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। গ্রামীণ কাঁচা সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও টানা বর্ষণের ফলে লোহালিয়া ও পায়রা নদীতে পানি ও স্রোতের পরিমাণ বিপজ্জনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে উত্তর মুরাদিয়া, সন্তোষদি, চরগরবদি ও দক্ষিণ মুরাদিয়া গ্রামের অন্তত পাঁচটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি ঘরে ঘরে ঢুকে পড়ে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।

মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান ফোরকান বলেন,

“উত্তর মুরাদিয়ার বশিরিয়া মাদ্রাসা-সংলগ্ন পাকা রাস্তার বড় একটি অংশ ভেঙে গেছে। এছাড়া সন্তোষদি গ্লুইসগেট, পাংসিঘাট এবং দক্ষিণ মুরাদিয়ার হাওলাদারবাড়ি এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে আশপাশের ঘরবাড়ি ও আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। আমরা পাউবো কর্মকর্তাদের দ্রুত অবহিত করেছি, কিন্তু পানি না নামা পর্যন্ত মেরামতের কাজ শুরু করা সম্ভব নয়।”

তিনি আরও জানান, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আসন্ন আমন মৌসুমে কৃষি খাতে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুজর মো. এজাজুল হক বলেন,

“বাঁধ ভেঙে পড়া এলাকাগুলোতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।”

পাউবো পটুয়াখালীর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. নিরব হোসেন জানিয়েছেন,

“ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন তৈরি করে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।”

এদিকে, পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান,

“বাঁধ মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ চেয়ে ঢাকায় প্রস্তাব পাঠানো হবে। অনুমোদন পাওয়া মাত্রই সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।”

স্থানীয়দের দাবি, বাঁধ ভেঙে যেভাবে পানির প্রবল স্রোত গ্রামে ঢুকছে, তা ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ পরিণতি দেখা দিতে পারে।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© 2024, All rights reserved. এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। এখানে নিজস্ব সংবাদ প্রচার সহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ সুত্র সহ প্রকাশ করা হয়। অনুগ্রহ পূর্বক কেহ অভিযোগ করিবেন না। তাছাড়াও কোন অভিযোগ থাকলে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হইলো।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট
error: এখানে নিজস্ব সংবাদ প্রচার সহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ সুত্র সহ প্রকাশ করা হয়। অনুগ্রহ পূর্বক কেহ অভিযোগ করিবেন না। তাছাড়াও কোন অভিযোগ থাকলে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হইলো।