শফিকুল বারি, স্টাফ রিপোর্টার | দৈনিক সংবাদ ৭১
শুক্রবার, ১ আগস্ট ২০২৫
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, “দেশ থেকে স্বৈরতন্ত্রকে চিরতরে উৎখাত করতে হলে উভয় কক্ষে পিআর (প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন) পদ্ধতির বাস্তবায়নই একমাত্র সমাধান।”
তিনি বলেন, “পিআর নিয়ে এখন দেশের গণমানুষের মধ্যে একটি সাধারণ ঐক্য তৈরি হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২০০৮ সাল থেকেই এ পদ্ধতির পক্ষে জনমত গড়ে তোলার কাজ করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা রাজনৈতিক জোটবদ্ধতা গড়ে তুলেছি, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গেও একাধিকবার বসে লিখিতভাবে আলোচনার দাবি জানিয়েছি।”
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক পর্যালোচনা বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ আরও জানান, ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফা আলোচনার এজেন্ডায় ‘নিম্নকক্ষে নির্বাচন পদ্ধতি’ অন্তর্ভুক্ত না করা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তাঁর দাবি, “আমাদের প্রেসিডিয়াম সদস্য এজেন্ডাভুক্ত করার সুপারিশ করলেও তা রুঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এতে আমরা ক্ষুব্ধ এবং কমিশনের আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।”
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন,
“দেশে ভোটের মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে এবং ভোটকেন্দ্রিক সহিংসতা, অরাজকতা ও হানাহানি বন্ধ করতে পিআর পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য উভয় কক্ষে পিআর প্রয়োজন হলেও নিম্নকক্ষে তা সবচেয়ে বেশি জরুরি।”
তিনি বলেন, “নিম্নকক্ষে পিআর না হলে দেশে স্বৈরতন্ত্রের দীর্ঘস্থায়ী ছায়া থেকেই যাবে। একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের বিরোধিতার কারণে জনগণের অভিমতকে যেভাবে উপেক্ষা করা হচ্ছে, তা কার্যত জুলাইয়ের রক্তস্নাত আত্মত্যাগকে অস্বীকার করার শামিল। আমরা এটা কখনোই প্রত্যাশা করি না।”
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এককভাবে পিআর বাস্তবায়নের দাবিতে ঐকমত্য কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, গণমানুষের দাবি ও আত্মত্যাগ যেন কোনো অবস্থাতেই বিফলে না যায়।