শফিকুল বারী, স্টাফ রিপোর্টার
৩১ জুলাই ২০২৫
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) এক বিবৃতিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদ্য গৃহীত সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশকে ভবিষ্যতে স্বৈরতন্ত্রের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল উভয় কক্ষে পিআর (প্রো-পোরশোনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতির নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছিল। কারণ রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের প্রকৃত মতের প্রতিফলন এবং ভোটের ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে পিআর পদ্ধতি-ই সর্বোত্তম।"
তিনি বলেন, "সংস্কার-আলোচনার শেষ প্রান্তে এসে উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতির সিদ্ধান্ত জাতির দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার আংশিক বাস্তবায়ন। বিএনপির মতো দলের তীব্র বিরোধিতার মধ্যেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের এবং আলোচনায় অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক শক্তি ও ব্যক্তিদের প্রতি আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, "বাংলাদেশকে সঠিক ধারায় পরিচালনার জন্য রাজনীতিকদের প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু সমস্যা বাস্তবায়নে সদিচ্ছার অভাবে। ৫৪ বছরের বাস্তবতা থেকে আমরা জানি, যেখানে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ উন্নতির পথে অগ্রসর, সেখানে বাংলাদেশ রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে অবনতির দিকে গিয়েছে।"
তিনি সতর্ক করে বলেন, “জুলাইয়ের রক্তস্নাত প্রেক্ষাপটের পর যেসব সংস্কারে আলোচনা হয়েছে, উচ্চকক্ষে পিআর না থাকলে সেসব সংস্কারও ভবিষ্যতে কার্যকর থাকতো কিনা, তা নিয়ে সংশয় ছিল। এই সিদ্ধান্ত ‘জুলাই চেতনার’ এক গুরুত্বপূর্ণ রক্ষাকবচ হয়ে উঠেছে।”
বিবৃতির শেষাংশে তিনি জানান, “ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এখনো উভয় কক্ষে পিআর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজনৈতিক সংগ্রাম চালিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।”