প্রভাষক জাহিদ হাসান, দৈনিক সংবাদ ৭১ ডিজিটাল ডেস্ক
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০৪ জন নিহত এবং অন্তত ৩৯৯ জন আহত হয়েছেন। পাশাপাশি অপুষ্টিজনিত কারণে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৭ জন। এই তথ্য জানিয়েছে গাজার হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বিবিসিকে হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের নিকটে একটি হামলায় কমপক্ষে ৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলার পর ইসরায়েল যে সামরিক অভিযান শুরু করে, তা এখন পর্যন্ত থামেনি। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, এ পর্যন্ত নিহতের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ১৩৮ জন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বহু হতাহত এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে অথবা রাস্তায় পড়ে আছেন। সীমিত যানবাহন ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকারী দল অনেকক্ষেত্রে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারছে না।
একই সঙ্গে গাজায় অপুষ্টিজনিত মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। গতকাল বুধবার পুষ্টিহীনতায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৭ জনের, যাদের বেশিরভাগই শিশু। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত খাদ্যাভাবে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১৫৪ জন, যার মধ্যে ৮৯ জনই শিশু।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, শুধু ২০২৫ সালের জুলাই মাসেই গাজায় অপুষ্টিজনিত মৃত্যু হয়েছে ৬৩ জনের। এটি চলতি বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু।
সংস্থাটি জানিয়েছে, “অধিকাংশ রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত ঘোষণা করা হয় অথবা সেখানে পৌঁছানোর আগেই তারা মারা যান। এদের শরীরে চরম অপুষ্টির লক্ষণ স্পষ্ট ছিল।”
জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, গাজায় ত্রাণ সরবরাহে বাধা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।
বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (WFP)-এর নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাকেইন বলেন, “আমরা পদক্ষেপ নিতে যত দেরি করব, মৃতের সংখ্যা ততই বাড়তে থাকবে।”
তথ্যসূত্র: বিবিসি, WHO, WFP”