আজীজুল রহমান, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার, দৈনিক সংবাদ ৭১
“কৃষিই সমৃদ্ধি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হলো “অরণ্যের উৎসব ২০২৫” উপলক্ষে একটি ব্যতিক্রমধর্মী চারা বিতরণ অনুষ্ঠান। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাগেরহাট-এর উদ্যোগে এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এই আয়োজন সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মোতাহার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস. এম. মুস্তাফিজুর রহমান। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অংশগ্রহণ করেন।
চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথিরা শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা তুলে দেন। বক্তারা বলেন, নতুন প্রজন্মকে ছোটবেলা থেকেই পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল করে তুলতে গাছ রোপণ অত্যন্ত কার্যকর একটি পদক্ষেপ। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বলেন, “আমরা গর্বিত যে আমাদের প্রতিষ্ঠান এই মহতী উদ্যোগের অংশ হতে পেরেছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছোটবেলা থেকেই গাছ লাগানোর অভ্যাস গড়ে তুললে তারা ভবিষ্যতে প্রকৃতির প্রকৃত বন্ধু হয়ে উঠবে।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস. এম. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আজকের একটি গাছ মানে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ পৃথিবীর প্রতিশ্রুতি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে গাছ বিতরণ শুধুই প্রতীকী কোনো কাজ নয়; বরং এটি একটি পরিবেশ সচেতন সমাজ গঠনের সূচনা।”
উপ-পরিচালক মোঃ মোতাহার হোসেন বলেন, “বৃক্ষ রোপণ মানে শুধু সবুজায়ন নয়, এটি আমাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও ওষুধের উৎস। প্রতিটি শিক্ষার্থী যদি অন্তত একটি গাছের যত্ন নেয়, ভবিষ্যতের পৃথিবী হবে আরও বাসযোগ্য ও টেকসই।”
অনুষ্ঠানে বক্তারা গাছ রোপণের নানা উপকারিতার কথাও তুলে ধরেন। গাছ পরিবেশ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে। এটি মাটির ক্ষয় রোধে সহায়তা করে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন খরা ও বন্যা প্রতিরোধ করে, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ভূমিকা রাখে এবং ছায়া ও শীতলতা প্রদান করে।
শেষে বক্তারা বলেন, “অরণ্যের উৎসব ২০২৫” কেবল একটি চারা বিতরণ কর্মসূচি নয়; এটি একটি সবুজ, সচেতন এবং সুস্থ ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি। গাছ আমাদের প্রকৃত বন্ধু—তাই আমাদের সবাইকে এগিয়ে এসে বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে।