এম আলী আকবর | ব্যুরো চিফ, বাগেরহাট | দৈনিক সংবাদ ৭১ ডিজিটাল ডেক্স
জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম (জেএসএফ) বাংলাদেশ মনে করে, দেশের বর্তমান সংকট দিন দিন আরও ঘনীভূত হচ্ছে। এর মূল কারণ হিসেবে সংগঠনটি চিহ্নিত করেছে বাইরের হস্তক্ষেপ, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, এবং অর্থনীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের বেহাল দশা।
২৮ জুলাই (২০২৫) আইবিএননিউজে পাঠানো এক বিবৃতিতে জেএসএফ-এর আহ্বায়ক হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন বলেন—
“সরকারকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠনের কিছু সদস্য ইচ্ছাকৃতভাবে সহিংসতা ও উত্তেজনা সৃষ্টি করছে, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
তিনি আরও বলেন—
“মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনা ও তার পরবর্তী পরিস্থিতি স্পষ্ট করে দেয় যে, আমাদের রাষ্ট্র কাঠামো ভেতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ওপরও। এ অবস্থায় একটি সুষ্ঠু, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও নির্ভরযোগ্য নির্বাচনই হতে পারে উত্তরণের অন্যতম পথ।”
জেএসএফ-এর আরেক বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ২৩ জুলাই উত্তরা মাইলস্টোন স্কুলের পাশে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরদিন এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নেয় এবং কিছু স্থানে উপদেষ্টাদের অবরুদ্ধ করার ঘটনাও ঘটে।
সংগঠনটির দাবি, এই বিক্ষোভে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের একটি অংশ সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল। এতে দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ হুমকির মুখে পড়ছে এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর জন্য এটি একটি উদ্বেগজনক ইঙ্গিত।
জেএসএফ মনে করে, সরকারের ভেতরের একটি মহল ও বাইরের কিছু অপশক্তি মিলে ইচ্ছাকৃতভাবে পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার পাঁয়তারা করছে।
সংগঠনটি আরও বলেছে, রাজধানীর জনবহুল এলাকার এত কাছে বিমান ঘাঁটি থাকা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য তারা বিমান বাহিনীর ঘাঁটি জনবসতি থেকে দূরে স্থানান্তরের প্রস্তাব দিয়েছে।
বিবৃতির শেষাংশে জেএসএফ আহ্বান জানিয়েছে দল, মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য।
“ফ্যাসিবাদ ও অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জাতির ঐক্যবদ্ধ অবস্থান ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।”