দৈনিক সংবাদ ৭১ ডিজিটাল ডেস্ক | প্রভাষক জাহিদ হাসান
গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির মধ্যেও অব্যাহত রয়েছে ইসরায়েলি হামলা। এতে রোববার (২৭ জুলাই) নতুন করে আরও ৬৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার খান ইউনিস, বনি সুহেলাসহ একাধিক ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান ও স্থল হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। নিহতদের অনেকেই ছিলেন ত্রাণ সংগ্রহের অপেক্ষায় থাকা সাধারণ মানুষ।
এরইমধ্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজার নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে। একই সঙ্গে জাতিসংঘের ত্রাণ কনভয়ের নিরাপদ চলাচলের জন্য নতুন মানবিক করিডোর চালুর কথাও জানানো হয়।
তবে সাধারণ মানুষ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, যুদ্ধ বন্ধ না করে শুধুমাত্র ত্রাণ সরবরাহ সংকট নিরসনে যথেষ্ট নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গাজায় অপুষ্টির হার বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। জুন মাস থেকে এই সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে। সংস্থাটির মতে, ত্রাণ সরবরাহে ইচ্ছাকৃত বাধা ও বিলম্বই এই দুরবস্থার জন্য দায়ী।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়ায় অগ্রগতির অভাবের জন্য হামাস দায়ী। তিনি জানান, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি প্রশ্নে হামাস আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
অন্যদিকে, গাজায় আকাশপথে ত্রাণ পাঠিয়েছে জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। রোববার দিনে তিন দফায় ২৫ টন খাদ্য ও ওষুধবিষয়ক সহায়তা এয়ারড্রপের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে জর্ডানের সেনাবাহিনী।
এইদিন হামাস নেতা খলিল আল-হায়া এক বিবৃতিতে বলেন, অবরোধ ও অনাহার চলতে থাকলে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনা ‘অর্থহীন’।