স্টাফ রিপোর্টার | মো: আতিকুর রহমান
সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “সমন্বয়কদের চাঁদা দাবির খবরে আমি বেদনায় নীল হয়ে গিয়েছি। গণ–অভ্যুত্থানের এক বছরেই এই অবস্থা! যে তরুণরা দেশ গঠন করবে, তারাই এখন চাঁদাবাজি করছে—আমরা কি এমন পরিণতি চেয়েছিলাম?”
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে যুবদলের আয়োজিত ‘গ্রাফিতি আর্টস’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “এত দ্রুত যদি এ রকম অবক্ষয় শুরু হয়, তবে ভবিষ্যৎ কীভাবে আশা করব? গোটা বাংলাদেশ এখন তরুণদের দিকে তাকিয়ে আছে। হাসিনার পতনের পর সবার দৃষ্টি ছিল এই তরুণদের দিকে। কিন্তু আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়—নতুন করে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের স্বপ্ন এখন প্রশ্নবিদ্ধ।”
সংস্কার ইস্যুতে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপি সব ধরনের সহযোগিতা করে চলেছে। কিন্তু সংস্কারের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। যতই বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র হোক, দেশের মানুষ লড়াই করতে জানে। তারা অতীতেও লড়াই করে দেশকে মুক্ত করেছে।”
তিনি বলেন, “তারেক রহমান চেষ্টা করছেন, কীভাবে বাংলাদেশকে আবার গড়ে তোলা যায়। কোনো একটি দল বা সংগঠন একা আন্দোলন করেনি—জুলাই অভ্যুত্থানে শিশু, বৃদ্ধ, ছাত্র, কৃষক, রিকশাচালক সবাই অংশ নিয়েছিল। এই গণঅংশগ্রহণেই স্বৈরাচারের পতন সম্ভব হয়েছে। সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে হলে শ্রমজীবী মানুষের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে।”
সরকারবিরোধী আন্দোলনে নিপীড়নের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই মাসে আমাদের নেতাকর্মীদের গুম, হত্যা ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিবি অফিসে নিয়ে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে। সেই আন্দোলনে যুবদলের ৭৯ জন ও ছাত্রদলের ১৪২ জন শহীদ হয়েছেন। আমরা চাই সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলা হোক।”
আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, “১৫ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করে এসেছি। তার পতনের এক বছর পার হয়ে গেলেও তাকে ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে হত্যা-নিপীড়নের বিচার শুরু হয়নি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও প্রশ্নবিদ্ধ।”
অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, যুবদল ও ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।