স্টাফ রিপোর্টার, মো: আজিজুর রহমান
নেত্রকোণায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ফিশারি ঘরে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও পরবর্তীতে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই ২০২৫) নেত্রকোণা জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. এ কে এম এমদাদুল হক আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
এই রায় ঘোষণার পর এলাকায় স্বস্তি ও স্বাভাবিক ন্যায়বিচারের অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ে।
আনোয়ারা বেগম, স্থানীয় সমাজকর্মী বলেন,
“এই মামলার বিচার পেতে পরিবার যা লড়াই করেছে, তা চোখে জল আনে। অবশেষে তারা ন্যায়বিচার পেয়েছে। এটা সমাজের জন্য একটি বড় বার্তা।”
মোঃ হাশেম উদ্দিন, শিক্ষক ও অভিভাবক:
“নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো অপরাধের কঠোর শাস্তিই পারে ভবিষ্যতে অপরাধ কমাতে। আদালতের এই রায়কে আমরা স্বাগত জানাই।”
এই রায় শুধু একটি বিচারের সমাপ্তি নয়, বরং সামাজিক প্রতিবাদ, জনগণের চাপ ও আইনের প্রয়োগ মিলিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর মামলার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
দীর্ঘ ৮ বছরের আইনি প্রক্রিয়া শেষে দেওয়া এই দণ্ড নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে বিচার ব্যবস্থার দায়িত্বশীল ভূমিকারই প্রমাণ।