আহ্বায়ক কমিটিতে কর্মী সংকটে বিএনপি, রফিনগর ইউনিয়ন কমিটি নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ
দিরাই প্রতিনিধি:
দিরাই উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে উপজেলা আহ্বায়ক জবাব আমির হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক মইন উদ্দিন চৌধুরী মাসুকের স্বাক্ষরে। গতকাল ২৭ জুলাই (রোববার) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই কমিটিগুলো প্রকাশিত হলে রফিনগর ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে।
বিশেষ করে রফিনগর ইউনিয়নের কমিটি নিয়ে নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, বিএনপির কর্মী সংকটের অজুহাতে কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জায়গা দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগপন্থী ব্যক্তিদের নিয়েই গঠন করা হয়েছে এই কমিটি।
একজন ক্ষুব্ধ কর্মী মন্তব্য করেন,
“রফিনগর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সংকট থাকায় আওয়ামী লীগের লোক দিয়েই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটা দলের প্রতি চরম অবমূল্যায়ন।”
আরেকজন ফেসবুকে লেখেন,
“কারানির্যাতিত একজন ত্যাগী নেতাকে মূল্যায়ন না করে তাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এটা শুধু দুঃখজনক নয়, এটি রাজনীতিতে ত্যাগের প্রতি অবিচার।”
এছাড়া আরও অনেকে মন্তব্য করেছেন,
“নীতিহীন রাজনীতির জ্বলন্ত উদাহরণ এই কমিটি। যেখানে যোগ্যতা বিলাসিতা, সেখানে দলীয় মূল্যবোধের মৃত্যু ঘটে।”
সর্বাধিক আলোচিত একটি মন্তব্যে লেখা হয়:
“দলের দুঃসময়ে যারা রাজপথে ছিল, লাঠি খেয়েছে, জেল খেটেছে, আজ তাদের জায়গা হয়নি। দুর্নীতিবাজ ও সুবিধাবাদীদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটা শুধু অবিচার নয়, এটা বিশ্বাসঘাতকতা।”
এই পরিস্থিতিতে রফিনগর ইউনিয়ন ছাত্রদল এক বিবৃতিতে কমিটির বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং ত্যাগী নেতাকর্মীদের পুনর্মূল্যায়নের দাবি তোলে।
স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের মতে, বিএনপির মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের এমন হতাশা ও বঞ্চনার অনুভূতি দলীয় কাঠামো ও ঐক্যে বড় ধরনের ধাক্কা সৃষ্টি করতে পারে।
দলের হাইকমান্ডের এখন জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করে বিষয়টি নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।