ভোলার তজুমদ্দিনে তৃণমূল বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে শক্তিশালী প্রত্যয়
খন্দকার নিরব
স্টাফ রিপোর্টার
ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর এ উপজেলায় বিএনপির এমন বড় পরিসরের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা ফিরে এসেছে।
সম্মেলনের প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম। তিনি বলেন,
“ধানের শীষ প্রতীক যাকেই দেওয়া হোক, সবাইকে তার হয়ে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে হবে। তৃণমূলের দায়িত্ব হলো দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করা।”
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন,
“দলের ভেতরে কোনো অপশক্তি অনুপ্রবেশ করলে বিএনপিকে কলঙ্কিত হতে হবে। তাই সময় থাকতেই এসব ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা এমন কাউকে দলে চাই না, যারা দলের ক্ষতি করে।”
দুর্নীতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
“এক বছরে একজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান যদি অট্টালিকা নির্মাণ করতে পারে, তাহলে আমি ছয়বার এমপি হয়েও কেন পারিনি? কারণ আমি কখনো দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হইনি, ভবিষ্যতেও হবো না ইনশাআল্লাহ।”
তিনি আরও বলেন,
“যদি কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে মানুষের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে, তাহলে তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হবে।”
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে গোলাম মোস্তফা মিন্টুকে সভাপতি এবং ওমর আসাদ রিন্টুকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
সম্মেলনের প্রধান বক্তা ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আ ক ম কুদ্দুসুর রহমান। উদ্বোধক ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য এবং ভোলা জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সমন্বয়ক নাছের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন:
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা মিন্টু এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব ওমর আসাদ রিন্টু।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত হাজারো নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সম্মেলনটি প্রাণবন্ত রূপ নেয়। অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীরা বলেন,
“এই সম্মেলনের মাধ্যমে তৃণমূল সংগঠন আরও সুসংহত হয়েছে এবং আগামীর রাজনৈতিক আন্দোলনে উপজেলা বিএনপি আরও ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিতে পারবে।”