শশুরবাড়িতে বিষপানে যুবদল কর্মীর মৃত্যু: সোহাগ হত্যার বিচার দাবিতে আদিখালীতে উত্তাল মানববন্ধন
শামীম হাওলাদার, বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের আদিখালী কাঠিপাড়া গ্রামে যুবদল কর্মী সোহাগ সরদারের (৩০) মৃত্যুর সঠিক তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ২৩ জুলাই (বুধবার) সোহাগ সরদার বিষপানে মারা যান। পরিবারের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়—বরং এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আদিখালী গ্রামের মো. আবেদ আলীর একমাত্র ছেলে সোহাগ সরদার পাঁচ বোনের একমাত্র ভাই ছিলেন। তাঁর কোনো সন্তান ছিল না।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বিয়ের পর থেকেই সোহাগের সঙ্গে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সম্পর্ক ভালো ছিল না। নিয়মিতভাবে মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন তিনি। তার শ্বশুরবাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের দে পাড়া গ্রামে। স্বজন ও এলাকাবাসীর অভিযোগ—সেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের কারণেই সোহাগের মৃত্যু হয়েছে।
মানববন্ধনে অংশ নেন চিতলমারী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অপু তালুকদার, যুবদলের আহ্বায়ক জাকরিয়া মিলন, যুগ্ম আহ্বায়ক মিলনসহ স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও শিশু, কিশোর, যুবক, নারী ও প্রবীণসহ শত শত এলাকাবাসী এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।
বক্তারা বলেন, “সোহাগের মৃত্যু কোনো আত্মহত্যা নয়, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। দীর্ঘদিন ধরে তাকে যেভাবে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তা আজ আমাদের সামনে চরম পরিণতি নিয়ে এসেছে। আমরা এর বিচার চাই।”
তাঁরা আরও বলেন, “এই হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার যে কোনো অপচেষ্টা রুখে দিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত চাই এবং প্রকৃত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।”
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের সাংবাদিক, বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী ও মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরাও।
এ ঘটনায় চিতলমারী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হলেও নিহতের পরিবার এটি হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করার দাবি জানিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।