দৈনিক সংবাদ ৭১ ডিজিটাল ডেক্স : হারুন অর রশিদ
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৩২ জনে। গত এক দশকের মধ্যে এটি সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরা।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো উভয় দেশের মধ্যে ভারী কামান ও রকেট হামলা চলেছে। সংঘাতের ফলে দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় ভয়াবহ মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে ১ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
কম্বোডিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচেতানতুন জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে সাতজন বেসামরিক নাগরিকসহ মোট ১২ জন রয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন।
অন্যদিকে, থাইল্যান্ড জানিয়েছে, সংঘর্ষে শিশুসহ আরও ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং দেশটির ছয় সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৬০ জন।
থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই এক বিবৃতিতে বলেন, “সংঘাতের পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে এবং এটি সর্বাত্মক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।”
এদিকে, আসিয়ানের চেয়ারপার্সন ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আহ্বানে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন। তবে থাইল্যান্ড প্রাথমিকভাবে রাজি হলেও পরে সেই প্রস্তাব থেকে সরে আসে। বিষয়টিকে ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “বর্তমান সংঘাত বন্ধের একমাত্র পথ হলো থাইল্যান্ডের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়া।”